বিশ্বকাপ জয়ী জাতীয় ফুটবল দলকে নিয়ে বিশাল এক শোভাযাত্রা করেছে আর্জেন্টিনা। গতকাল বুধবার (বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার) অধিনায়ক লিওনেল মেসির নেতৃত্বে স্মরনীয় ওই শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয় আর্জেন্টিনার রাজধানীতে। বিজয়ী দল একটি খোলা ছাদের বাসে করে রোমঞ্চকর ওই বিজয়ী শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। এই সময় তাদের বেস্টন করে থাকা হাজার হাজার ভক্ত উচ্ছাস প্রকাশ করতে থাকে।
জাতীয় দলের সাদা নীল জার্সি এবং পতাকা নিয়ে এইসব ভক্তরা পুরোটা সময় মাতিয়ে রাখে নেচে গেয়ে। সেই সঙ্গে ফুটিয়েছে আতশবাজী। কেউ কেউ আবার শোভা যাত্রার জন্য নির্দিস্ট রাস্তার পাশে নিজেদের স্থান ধরে রাখার জন্য আগের রাত থেকেই করেছে ক্যাম্পিং। এভাবে আনুমানিত ৩০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে শাভাযাত্রাটি শহরের প্রানকেন্দ্র আইকনিক ওবেলিস্ক স্মৃতিস্তম্ভের দিকে এগুতে থাকে।
এর আগে মধ্যরাতে কাতার থেকে বিমান যোগে দলটি দেশে অবতরণের পর তাদের পাঠিয়ে দেয়া হয় ইজিজা বিমান বন্দর সংলগ্ন আর্জেন্টাইন ফুটবল এসোসিয়েশনের প্রশিক্ষন কমপ্লেক্সে। সেখান থেকেই শুরু হয় এই শোভাযাত্রা। ভক্তদের ভীড়ে হাঁটার গতিতে এগিয়ে যেতে থাকে শোভাযাত্রাটি। দীর্ঘ দুই ঘন্টা ভ্রমনের পর তারা মাত্র ছয় কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে সক্ষম হয়।
এর মাধ্যমে নিজেদের রাত্রিযাপনকারী স্থান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রাপথে ১০ হাজার ভক্ত দাঁড়িয়ে থাকলে কি অবস্থা দাঁড়াবে তার একটি স্বাদ পেয়ে যায় খেলোয়াড়রা। আট বছর আগে জার্মানির কাছে ১-০ গোলে হেরে শিরোপা লাভে ব্যর্থ হবার ঘটনাকে টেনে এনে আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেছেন,‘ এই ট্রফিটি আমরা তাদের জন্যও জিতেছি যারা আগের বিশ্বকাপে জিততে পারেনি। যেমনটি হয়েছে ২০১৪ সালে ব্রাজিলে।’ সাবেক ও বর্তমান সতীর্থ এবং ব্যাকরুম স্টাফদেরর ধন্যবাদ জানান মেসি। যোগ করেন,‘ হৃদয় থেকে ধন্যবাদ। (এগিয়ে) চলো আর্জেন্টিনা।
বিজয় উদযাপনের জন্য দিনটিকে সরকারী ছুটির দিন ঘোষনা করা হয়। ১৮ বছর বয়সি ছাত্র ফিওরেলা লাভিয়া বলেন,‘একজন আর্জেন্টাইন হিসেবে অন্য আর্জেন্টাইনের সঙ্গে (আনন্দ) ভাগাভাগি করার এই অভিজ্ঞতাটা অসাধারন।’
কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত নাটকীয়তায় ভরপুর ফাইনালে অতিরিক্ত সময়সহ ১২০ মিনিটের খেলা ৩-৩ গোলে ড্র থাকার পর টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে ৪-২ গোলে হারিয়ে ৩৬ বছরের শিরোপা খরা দূর করে আর্জেন্টিনা।