কাতার বিশ্বকাপে ‘এইচ’ গ্রুপের ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল ঘানা। শে ষোলোয় যাওয়ার রাস্তা সহজ করার জন্য এই দলের কাছেই জয় জরুরি ছিল। এই পরিস্থিতিতে ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতে রাখলেও গুরুত্বপূর্ণ জয় পেল না দক্ষিণ কোরিয়া। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে থাকা ঘানার বিরুদ্ধে এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে ৫ গোলের ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়াকে ৩-২ ব্যবধানে হারিয়েছে আফ্রিকার দেশ। ২০১০ সালের পর এই প্রথম বিশ্বকাপে জয়ের স্বাদ পেল ঘানা।
চলতি বিশ্বকাপে উরুগুয়ের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে সমানতালে লড়েছিল দক্ষিণ কোরিয়া। অন্যদিকে পর্তুগালের সঙ্গে ঘানা দেখিয়েছে কতোটা ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে তারা। ফলে কোরিয়ার বিপক্ষেও তারা ছেড়ে কথা বলবে না, জানাই ছিল।
এদিকে, পুরো ম্যাচে কোরিয়ান ফুটবলাররা ২০টি আক্রমণ সংগঠিত করেছে। এরমধ্যে কিছু শটে তো নিশ্চিত গোল বলে মনে হচ্ছিল। তবে ২টি গোল হজম করা ছাড়া বাকিগুলো বেশ ভালোভাবেই সামলেছেন লরেন্স।
ম্যাচের শুরু থেকে আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে ব্যস্ত ছিল দুই দলই। যেখানে অবশ্য শুরুতে এগিয়ে গিয়েছিল ঘানার ফুটবলাররা। প্রথমার্ধে ২-০ গোল ব্যবধানে এগিয়ে যায় ঘানা। ২৪তম মিনিটে দলটিকে এগিয়ে দেন মোহাম্মেদ সালিসু। এরপর ৩৪তম মিনিটে দলকে আরও এগিয়ে দেন মোহাম্মেদ কুদুস।
বিরতি থেকে ফিরে দ্বিতীয়ার্ধে খেলা ঘুরিয়ে দিল দক্ষিণ কোরিয়া। ৩ মিনিটের ব্যবধানে দুটি গোল। দুটোই করলেন কোরিয়ার সেন্টার ফরওয়ার্ড চো গুই সং। খেলার ৫৮ এবং ৬১তম মিনিটে গোল আদায় করে নেন এই স্ট্রাইকার। প্রথমটা লির সেন্টার থেকে। দ্বিতীয়টা কিমের ক্রস থেকে। দুটো হেড রকেট গতিতে ভেঙে দিল ঘানার প্রতিরোধ। কেন বিশ্বকাপের ইতিহাসে দক্ষিণ কোরিয়া ইতালি এবং জার্মানিকে হারিয়েছিল সেটা প্রমাণ করল দুর্দান্ত কামবাকে।
তবে সমতা ৫ মিনিটের বেশি ধরে রাখতে পারেনি কোরিয়ানরা। ডিফেন্সের ভুলে আবার ৬৮ মিনিটে গোল হজম করল তারা। বা পায়ের শটে নিজের দ্বিতীয় গোল পেয়ে গেলেন মোহাম্মাদ কুদুস। তবে এরপরেও লড়াই চালিয়ে গিয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়া। লি র ফ্রি-কিক বাঁচিয়ে দিলেন ঘানার গোলরক্ষক।
এই হারে ‘এইচ’ গ্রুপ থেকে প্রায় বিদায় ঘন্টা বেজে গেল দক্ষিণ কোরিয়ার। ২ ম্যাচ শেষে ১ পয়েন্ট কোরিয়ানদের। অন্যদিকে ঘানা এই জয়ে ৩ পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বকাপের আশা বাচিঁয়ে রাখল।