অনলাইন নিউজপোর্টাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক তৌফিক ইমরোজ খালিদীর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াত সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেয়।
তার জামিন বাতিল প্রশ্নে জারি করা রুলের শুনানিকালে আদালত এ আদেশ দেয়।
তৌফিক ইমরোজ খালিদীর বিরুদ্ধে ৪২ কোটি টাকা জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০২০ সালের ৩০ জুলাই মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আগামী ১ ডিসেম্বর রায়ের জন্য তারিখ ধার্য করেছে আদালত। ওই দিন পর্যন্ত তার বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
আদালতে খালিদীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহরিয়ার কবির। দুদকের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বাসসকে জানান, বিডিনিউজের সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদীর জামিন বাতিলের জন্য দুদকের আনা আবেদনের শুনানি আজ শেষ হয়েছে। আগামী ১ ডিসম্বর রায়ের জন্য রেখেছে আদালত। এ সময়ের মধ্যে খালিদীর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
বিডিনিউজ সম্পাদকের জামিন কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে ২০২০ সালের ৮ ডিসেম্বর রুল জারি করেছিল হাইকোর্ট। রুলের শুনানি শেষে আজ রায়ের তারিখ ধার্য করা হয়।
২০২০ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ ইমরুল কায়েশ তৌফিক ইমরোজ খালিদীকে জামিন দেয়। তার সেই জামিন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করে দুদক। দুদকের আবেদনের শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছিল হাইকোর্ট। মামলার অভিযোগে বলা হয়, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী এইচএসবিসি ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, সাউথ ইস্ট ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের বিভিন্ন হিসাবে ৪২ কোটি টাকা জমা রেখেছেন, যার বৈধ কোনো উৎস নেই। এই টাকা তিনি প্রতারণার মাধ্যমে ভুয়া কাগজপত্র সৃষ্টি করে অবৈধ প্রক্রিয়ায় অর্জন করেছেন মর্মে তথ্য-উপাত্তে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, তৌফিক ইমরোজ খালিদী উক্ত অস্থাবর সম্পদ অসাধু উপায়ে অর্জন করেছেন, যা তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ এবং জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত বিডিনিউজের ৯টি ও তৌফিক ইমরোজ খালিদীর নিজ নামে ১৩টি স্থায়ী আমানতের ৪২ কোটি টাকা অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করে রাখার আদেশ দেয়। একই বছরের ২৬ নভেম্বর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। ওই সময় অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে এল আর গ্লোবাল (এলআরজি) অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির সিইও রিয়াজ ইসলামকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।