সর্বাত্মক লকডাউনে প্রথম সাত দিনে রাজধানী ঢাকাতে ৩ হাজার পাচঁ শত নয়জনকে আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হয়েছে।
নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেটের অনুপস্থিতিতে যাদের গ্রেফতার করা হয় তাদের বিরুদ্ধে ডিএমপি অধ্যাদেশের ৭৭ ও ৭৮ ধারায় অভিযোগ মামলা দিয়ে আদালতে হাজির করে পুলিশ।
জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রত্যেককে একশ থেকে দুইশত টাকা করে জরিমানা করাছেন । সর্বাত্মক লকডাউনে চলাকালে যারা বিনা প্রয়োজনে অথবা মাস্ক সারা ঘরের বাহির হয়েছিল তারা এই জরিমানায় পড়েন।জরিমানার টাকা জমা দিয়ে গ্রেফতার হওয়া ব্যাক্তিরা মুক্তি পান।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাত দিনে সাত জন এই দায়ত্ব পালন করেছেন ।
৭ জুলাই ৫৮১ জনকে,৬ জুলাই ৪৬৭ জনকে,৫ জুলাই ৫৮৯ জনকে, ৪ জুলাই ৬৩৬ জনকে, ৩ জুলাই ৬০৭ জনকে এবং ২ জুলাই ৬২৯ জনকে জরিমানা করা হয়। সিএমএম আদালতের হাজতখানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
এ ছাড়াও ভ্রাম্যমাণ আদালত ওর্যাবে নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট অনেককে ঘটনা স্হলে জরিমানা করে সেড়ে দিয়েছে।
গ্রেফতারদের প্রতিদিন প্রিজনভ্যানে গাদাগাদি করে একসঙ্গে কোর্ট হাজতে নেওয়া হয়। সেখানে শত শত মানুষ একসঙ্গে গারদের মধ্যে অবস্থান করে। পরস্পরের শরীরের সঙ্গে শরীর এবং নিশ্বাসের সঙ্গে নিশ্বাস মিশে একাকার হয়ে যাচ্ছে। বাইরে আত্মীয়-স্বজনরাও ভিড় করেন।ফলে সেখানে আশংকাজনকভাবে করোনা সংক্রমনের ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে এমন আশংকা করেছেন সিএমএম আদালতের বেন্ঝ সহকারী জহির উদ্দিন ও গ্রেফতার হওয়া লোকজনের আত্মীয়-স্বজনগন।