ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় মানবসম্পদ অপরিহার্য। লাগসই দক্ষ মানব সম্পদ তৈরিতে সরকার এবং বেসিসকে সমন্বিত উদ্যোগে কাজ করতে হবে উল্লেখ করে তিনি সরকার, ইন্ডাস্ট্রিজ, একাডেমিয়া এবং সংশ্লিষ্ট ট্রেডবডিগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানিয়েছেন।
মন্ত্রী শনিবার রাতে রাজধানীর এক হোটেলে বেসিস’র উদ্যোগে প্রকাশিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক মাসিক ম্যাগাজিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহবান জানান।
বেসিস’র সাবেক সভাপতি মোস্তাফা জব্বার এ সময় বলেন, বেসিসকে তার মানবসম্পদ নিজেকেই তৈরি করতে হবে।
বেসিস’র সভাপতি রাসেল টি আহমেদের সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে বেসিস’র সাবেক সভাপতি সারোয়ার আলম ও হাবিবুল্লাহ এন করিম এবং সাবেক মহাসচিব আতিক ই রাব্বানী বক্তৃতা করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী উল্লেখ করেন, ডিজিটাল প্রযুক্তি-দুনিয়ায় ২০৪১ সালের বাংলাদেশ কোথায় যাবে, তা এখন কল্পনা করাও কঠিন। ১৯৯৭ সালে বেসিস প্রতিষ্ঠার অন্যতম উদ্যোক্তা মোস্তাফা জব্বার দেশের সফটওয়্যার শিল্প বিকাশে বেসিস’র ভূমিকা তুলে ধরে বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে আমরা লড়াই করেছি। ২০০৯ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নের লড়াইয়ের অগ্র-সেনানী আমরাই।’
তিনি বলেন, ডিজিটাল কর্মসূচি বাস্তবায়নে বেসিসকে আগামী দিনগুলোতে আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির বাংলাদেশকে সফটওয়্যার ব্যবহার চর্চা করার ব্যাপারে সচেতন করার বিষয়টিও সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিজের মানুষ হিসেবে ‘আমাদেরকেই করতে হয়েছে’ বলেও বিসিএস ও বেসিস’র সাবেক সভাপতি মোস্তাফা জব্বার উল্লেখ করেন ।
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী সফটওয়্যারকে মেধা সম্পদ উল্লেখ করে বলেন, এই সম্পদ কপিরাইটের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা অপরিহার্য, এর প্যাটেন্টও করা যায়। তিনি বলেন, অতীতের তিনটি শিল্প বিপ্লবে উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে ইউরোপ- আমেরিকা নেতৃত্ব দিয়েছে। তবে,ডিজিটাল যুগে উদ্ভাবনের সূর্য এশিয়ায় উদিত হয়েছে।
মন্ত্রী এ বিষয়ে বিশ্ব মেধাস্বত্ব সংস্থার ২০১৮ সালের একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, সে বছর গোটা ইউরোপ ও আমেরিকার প্যাটেন্ট নিবন্ধনের জন্য ৩ হাজারটি আবেদন করা হয়। একই বছর এশিয়ার একটি প্রতিষ্ঠান এককভাবেই ৫হাজারটি আবেদন করে। তিনি মেধা সম্পদ চর্চা ও সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সফটওয়্যার শিল্পের বিকাশে মানব সম্পদ তৈরিতে সরকার ও বেসিস’র সমন্বিত উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দেন।