বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ (২৪) রাজধানী ঢাকার কোনো এক এলাকায় খুন হতে পারেন বলে ধারণা করেছে পুলিশ।
শনিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এমন ধারণার কথা জানান।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিবি প্রধান বলেন, ফারদিনের মোবাইলের ডাটা এনালাইসিস ও বিভিন্ন জায়গায় সে যার সঙ্গে কথা বলেছে সবকিছু মিলিয়ে আমার কাছে মনে হচ্ছে ঢাকা শহরের কোনো এক জায়াগায় খুন হতে পারে সে। মোবাইলের লোকেশনে আমরা নারায়ণগঞ্জও পেয়েছি। সবকিছু মিলিয়ে তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত বলতে পারছি না।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, আপনারা জানেন ঢাকা কিংবা ঢাকার বাইরে কোনো ঘটনা ঘটলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক দক্ষ টিম কাজ করে। অনেক সময় লেগেছে, কিন্তু ক্লু উদঘাটন করেছি- এমন ঘটনা এর আগেও অনেক ঘটেছে। নিহত ফারদিনের বাবা প্রথমে একটি জিডি করেছিলেন, পরে তিনি মামলা করেন। মামলায় এক নম্বর আসামি বুশরাকে গ্রেপ্তার করেছি। পাশাপাশি মামলায় তার নাম এলেও আমরা এখনই মনে করছি না যে সে দায়ী। সে রিমান্ডে এসেছে, আমরা তার সঙ্গে কথা বলছি।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা শহরে ফারদিন যেখানে যেখানে গিয়েছিলেন আমরা বিভিন্ন টেকনিক্যাল মাধ্যম ব্যবহার করে সেসব স্থান খুঁজে বের করেছি। কমপ্লিট কোনো তথ্য বের করতে পারিনি বলে এখনই কিছু বলছি না। তবে আমাদের কাজ চলছে। ডিবির টিম রাত-দিন কাজ করে যাচ্ছে।
এ খুনের নেপথ্যে মাদক সংক্রান্ত কোনো বিষয় আছে কি না- জানতে চাইলে সাংবাদিকদের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন বলেন, আমরা এ কথা এখনই বলছি না যে মাদকের কারণে খুন হয়েছে। অথবা এটাও বলছি না, মামলার এক নম্বর আসামি গ্রেপ্তার বুশরা-ই খুন করেছে। আমরা পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন বিষয় বিচার-বিশ্লেষণ করছি।
ডেমরার চরপাড়া বস্তিতে ডিবির অভিযান চলছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তদন্তের স্বার্থে শুধু চরপাড়া বস্তি কেন, আমরা নারায়ণগঞ্জ গিয়েছি, ডেমরা ও খিলগাঁওসহ সব জায়গায় ডিবির টিম কাজ করছে।
ভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে ফারদিন মাদকাসক্ত ছিলেন। এমন কোনো তথ্য পুলিশের কাছে আছে কি না- জানতে চাইলে ডিবি প্রধান বলেন, ডিবির পক্ষ থেকে আমরা কখনোই বলিনি সে (ফারদিন) চরপাড়া গিয়ে মাদকের কারণে মারা গেছে। আমাদের টিম সবগুলো বিষয় নিয়ে কাজ করছে। প্রকৃতপক্ষে ঘটনার মূল রহস্য আমরা এখনো উদঘাটন করতে পারিনি।