বহুমাত্রিক লেখক অধ্যাপক ড. হুমায়ুন আজাদ হত্যা যুক্তিতক উপস্থাপনের জন্য ২৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মাকছুদা পারভীন এ তারিখ ধার্য করেন।
করোনা ভাইরাসের কারণে আদালত সাধারন ছুটি থাকায় এ মামলার কার্যক্রম বন্ধ ছিল। বর্তমানে স্বাভাবিক বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হওয়ায় আদালত নতুন এ তারিখ ধার্য করেন।
হত্যা মামলাটিতে ৪১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে হয়েছে গত ২০১৯ সালে ২১ মার্চ আসামিদের ‘এক্সামিন’ এর জন্য দিন ধার্য করা হয়েছিল। তবে এ ঘটনার বিস্ফোরক মামলায় মাত্র ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
গত ১৮ জানুয়ারী রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মাহফুজুর রহমান চৌদুরী আসামিদের সবৌচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড প্রার্থনা করেন।
ঘটনাটিতে প্রথমে হত্যাচেষ্টা হিসেবে মামলা করা হলেও পরবর্তীতে তা হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে চার্জশিট দেওয়া হয়। বর্তমানে মামলা দু’টি একই আদালতে বিচারাধীন।
২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে বইমেলা থেকে বাসায় ফেরার পথে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সামনে লেখক ড. হুমায়ুন আজাদের ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। পরে দেশে ও থাইল্যান্ডে চিকিৎসা নেন তিনি। মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে কিছুটা সুস্থ হয়ে তিনি ওই বছরেরই ৮ আগস্ট জার্মানির মিউনিখে যান। সেখানে ১১ আগস্ট মারা যান এই ভাষাবিজ্ঞানী।
এদিকে, হামলার পরদিন অর্থাৎ ২৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর রমনা থানায় ড. হুমায়ুন আজাদের ছোট ভাই মঞ্জুর কবির বাদী হয়ে একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। যা পরে হত্যা মামলায় রূপ নেয়।
প্রথাবিরোধী লেখক হিসেবে পরিচিত হুমায়ুন আজাদের জন্ম বিক্রমপুরের রাঢ়িখালে ১৯৪৭ সালের ২৮ এপ্রিল। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। হুমায়ুন আজাদের প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৬০ এর বেশি।২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল ওই মামলার তদন্ত শেষে সিআইডির পরিদর্শক লুৎফর রহমান পাঁচ আসামিকে অভিযুক্ত করে ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল ওই মামলার তদন্ত শেষে সিআইডির পরিদর্শক লুৎফর রহমান পাঁচ আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে সম্পূরক চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন। একই বছরের ১০ সেপ্টেম্বর ওই পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এর আগে, ২০০৭ সালের ১১ নভেম্বর মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা পাঁচ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে একটি চার্জশিট দাখিল করেন। ওই চার্জশিটে আবুল আব্বাস ভূঁইয়া ও গোলাম মোস্তফা নামের দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের অব্যহতি দেওয়া হয়। চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন জেএমবির সুরা সদস্য মিজানুর রহমান ওরফে মিনহাজ ওরফে শাওন, আনোয়ার আলম, হাফিজ মাহমুদ, সালেহীন ওরফে সালাহউদ্দিন ও নূর মোহাম্মদ ওরফে সাবু। আসামিদের মধ্যে সালেহীন ওরফে সালাহউদ্দিন ও নূর মোহাম্মদ ওরফে সাবু (পলাতক) ও হাফিজ মাহমুদ মারা গেছেন।