দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে এই প্রথম সোমবার কোরীয় উপদ্বীপের কাছে তাদের যৌথ নৌ মহড়া শুরু করেছে। পিয়ংইয়ং ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর এক দিন পর তারা এ মহড়া শুরু করলো। খবর এএফপি’র।
ওয়াশিংটন সিউলের প্রধান নিরাপত্তা মিত্র শক্তি এবং পরমাণু ক্ষমতাধর দেশ উত্তর কোরিয়ার হাত থেকে দক্ষিণ কোরিয়াকে রক্ষায় দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ২৮,৫০০ সৈন্য মোতায়েন রয়েছে।
গত মে মাসে দায়িত্ব গ্রহণ করা দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইয়োল যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যৌথ সামরিক মহড়া জোরদারের প্রতিশ্রুতি দেন। তার পূর্বসুরির শাসনামলে উত্তর কোরিয়ার সাথে বছরের পর বছরের কূটনৈতিক ব্যর্থতার পর তিনি এমন প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করলেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার নৌবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘উত্তর কোরিয়ার উস্কানিমূলক কর্মকা-ের জবাবে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র জোটের কঠোর মনোভাবের বহি:প্রকাশ ঘটাতে এ মহড়া শুরু করা হয়।’
এতে আরো বলা হয়, দক্ষিণ কোরিয়ার পূর্ব উপকূলে চার দিনের এ নৌ মহড়ায় ২০ টিরও বেশি জাহাজ ও একটি রণতরি অংশ নেবে। এসব জাহাজের অংশগ্রহণে জাহাজ ও সাবমেরিন বিধ্বংসী মহড়া চালানো হবে।
দক্ষিণ কোরিয়ার নৌবাহিনীর সিনিয়র এক কর্মকর্তা কয়াক কওয়াং বিবৃতিতে বলেন, ‘এই মহড়ার মধ্যদিয়ে দুই দেশের নৌবাহিনীর মধ্যে আমাদের যৌথ অভিযান চালানোর সক্ষমতার আরো উন্নতি হবে।’
পরমাণু ক্ষমতাধর পিয়ংইয়ং আরেকটি ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর একদিন পর এ মহড়া শুরু করা হলো।