You are here
Home > জাতীয় > সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকতে হবে

সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকতে হবে

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা সাহসের সঙ্গে রাজপথে নেমেছে। এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে। এটা বিএনপির একার আন্দোলন নয়। এটা দেশকে বাঁচানোর আন্দোলন। বাংলাদেশের মানুষের ধৈর্যের বাধ ভেঙে গেছে। তাই এই সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত সবাইকে রাজপথে থাকতে হবে।

সোমবার রাজধানীর মহাখালী গাউসুল আজম জামে মসজিদ সংলগ্ন চত্বরে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, লোডশেডিং, গণ-পরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি, পুলিশের গুলিতে নারায়ণগঞ্জে যুবদলের শাওন এবং ভোলায় ছাত্রদল নেতা নুরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা আব্দুর রহিমের হত্যার প্রতিবাদে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বিকাল ৩টায় এ সমাবেশ শুরু হওয়ার আগে গুলশান, বনানী থানার বিভিন্ন ওয়ার্ড বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশে আসেন। প্রায় প্রত্যেক নেতাকর্মীকে বাঁশের লাঠির মাথায় জাতীয় পতাকা লাগিয়ে মিছিলে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমীর খসরু বলেন, দেশের প্রত্যেক গ্রামে-গঞ্জে, থানা-উপজেলা ও শহরে মানুষ নেমে গেছে। এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন না ঘটিয়ে তারা ঘরে ফিরবে না। তবে এই ফ্যাসিস্টকে সরিয়ে আরেক ফ্যাসিস্টকে নয়, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এ আন্দোলন দেশের জনগণের আন্দোলন। এটা বাংলাদেশের আবার ফিরিয়ে আনার আন্দোলন। এই আন্দোলন দেশ বাঁচাও, গরিব বাঁচাও আন্দোলন। এই আন্দোলন- বাংলাদেশ যাবে কোন পথে-ফায়সালা হবে রাজপথে।

তিনি বলেন, আজকে আওয়ামী লীগের হাতে কোনো নেতৃত্ব নেই। ওই দলটির যারা রাজনীতিবিদ তাদের হাতে কোনো নেতৃত্ব নেই। এখন আওয়ামী লীগের নেতা চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোমিনুর রহমান, আদালতের বিচারক যিনি গাইবান্ধায় ভোট করতে গেছেন, পল্লবীর পুলিশ কমিশনার জসীম মোল্লা, ভোলায় যারা সংবিধান লঙ্ঘন গুলি করে বিএনপির নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে, নারায়ণগঞ্জে যিনি চাইনিজ রাইফেল দিয়ে গুলি করে শাওনকে হত্যা করেছে তারাই আওয়ামী লীগের নেতা।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক নেতৃত্ব সরকারি কর্মকর্তাদের কাছে ছেড়ে দিয়েছে। রাজনৈতিকভাবে এমন দেউলিয়া হয়ে গেছে আওয়ামী লীগ। আর আওয়ামী লীগের সমর্থক হচ্ছে- দখলদার, টেন্ডারবাজ, লুটপাটকারীরা। জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে আওয়ামী লীগ।

তিনি বলেন, বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে না পেরে সন্ত্রাসীদের মাঠে নামিয়েছে। পুলিশের একাংশ, একটি ক্ষুদ্র অংশ সংবিধানকে না মেনে এই সরকারের অপকর্মকে প্রতিষ্ঠা করছে। তারা আওয়ামী লীগের নেতা হতে চাইছেন। তাদের ওই পথ দেশের জন্য ভালো হবে না, ভবিষ্যতের জন্য ভালো হবে না। তবে এই বাহিনীর বেশিরভাগ সদস্য সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধ, তারা জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে না।

Similar Articles

Leave a Reply

Top