সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, বিয়ানীবাজাসিলেটের বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ডের ১ নম্বর কূপ থেকে নতুন করে গ্যাস উত্তোলনের জন্য পুনঃখনন কাজ শুরু হয়েছে।
আজ শনিবার দুপুরে পুনঃখনন কাজ শুরু করে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল)।
বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ডের ১ নম্বর কূপ থেকে ১৯৯১ সালে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়। ২০১৪ সালে বন্ধ হয়ে যায় গ্যাস উত্তোলন। ২০১৬ সালে ফের উত্তোলন শুরু হলেও ওই বছরের শেষ দিকে আবারও বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৭ সালের শুরু থেকেই এই কূপটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে বাপেক্স ওই কূপে অনুসন্ধান কাজ চালায়। তাতে দেখা যায়, কূপে এখনও গ্যাস মজুদ রয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ওই কূপে আজ থেকে নতুন করে খননকাজ শুরু করা হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
সিলেট গ্যাস ফিল্ডস সূত্রে জানা যায়, ১৯৫৫ সালে সিলেটের হরিপুরে প্রথম গ্যাসের সন্ধান মিলে। এরপর আবিষ্কৃত হয়েছে আরও বেশ ক’টি গ্যাসক্ষেত্র। দেশে বর্তমানে ২৮ টি আবিষ্কৃত গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে। সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেড (এসজিএফএলের) আওতায় বর্তমানে পাঁচটি গ্যাস ফিল্ডস রয়েছে। এগুলো হচ্ছে- হরিপুর গ্যাস ফিল্ড, রশিদপুর গ্যাস ফিল্ড, ছাতক গ্যাস ফিল্ড, কৈলাসটিলা গ্যাস ফিল্ড ও বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ড। তন্মধ্যে ছাতক গ্যাস ফিল্ড আছে পরিত্যক্ত অবস্থায়। বাকিগুলোর ১২টি কূপ থেকে বর্তমানে প্রতিদিন ৯১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে।
র গ্যাস ফিল্ডের ১ নম্বর কূপ থেকে নতুন করে গ্যাস উত্তোলনের জন্য পুনঃখনন কাজ আজ থেকে শুরু হয়েছ। কিছুদিনের মধ্যে এই কাজ শেষ হবে বলে তারা আশাবাদী। এরপরই উৎপাদনে যাওয়া যাবে। তিনি বলেন, এ কূপ থেকে প্রতিদিন ৫-৭ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলনের আশা করা হচ্ছে। তবে খননকাজ শেষ হলে উত্তোলনের সঠিক পরিমাণ নিরুপন করা সম্ভব হবে।
এদিকে, বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ডের ২ নম্বর কূপ থেকে প্রতিদিন সাত থেকে সাড়ে সাত মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলিত হচ্ছে বলে জানায় এসজিএফএল।