রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলে যৌথ সামরিক মহড়া চালাতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে রওনা দেওয়া সৈন্যরা সেখানে পৌঁছেছে। চীনও এ মহড়ায় অংশ নেবে। মস্কো ও পশ্চিমাবিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে তারা এমন মহড়া চালাতে যাচ্ছে। সোমবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ কথা জানিয়েছে। খবর এএফপি’র।
রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশ বেলারুশ, ভারত, মঙ্গোলিয়া ও সিরিয়াসহ ক্রেমলিনের বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোর সৈন্যরা এ সামরিক মহড়ায় অংশগ্রহণ করবে।
খবরে বলা হয়, আগামী ১ ও ৭ সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে এ মহড়া অনুষ্ঠিত হবে। মহড়াটি ওখতস্ক সাগর ও জাপান সাগরের জলসীমার পাশাপাশি রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলের সাতটি সামরিক প্রশিক্ষণ এলাকাজুড়ে চালানো হবে।
২০১৮ সালে একই ধরনের সামরিক মহড়া চালানো হয়েছিল।
এ মাসের গোড়ার দিকে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করে যে তারা এ সামরিক মহড়ায় অংশ নেবে। তবে তারা কত সৈন্য পাঠাচ্ছে সে ব্যাপারে কিছু জানায়নি।
বেইজিং জোরদিয়ে বলেছে, যৌথ এ সামরিক মহড়ায় তাদের অংশগ্রহণের সাথে ‘বর্তমান আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক পরিস্থিতির কোন সম্পর্ক নেই।’
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ৫০ হাজারেরও বেশি সৈন্য এবং ১৪০ টি বিমান ও ৬০ টি জাহাজসহ সামরিক সরঞ্জামাদির ৫,০০০ ইউনিট ভস্তক-২০২২ নামের এ সামরিক মহড়া চালাবে।
এতে আরও বলা হয়, মহড়ায় অংশ নিতে যাওয়া সৈন্যরা রাশিয়ার একেবারে পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত সার্গেইয়েভস্কি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পৌঁছেছে এবং তারা প্রস্তুতি নেওয়া ও তাদের অস্ত্র গ্রহণের কাজ শুরু করেছে।
এ সামরিক মহড়ায় অংশগ্রহণ করতে যাওয়া প্রত্যেক দেশ থেকে কত সৈন্য আসছে সে ব্যাপারে মস্কো কিছু বলেনি।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে সৈন্য পাঠানোর পর থেকেই মস্কো আফ্রিকা, দক্ষিণ আমেরিকা ও এশিয়া এশিয়ার দেশগুলোর সাথে বিশেষ করে চীনের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছে।
মস্কো আগস্টে তাইওয়ানে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সফর চলাকালে বেইজিংয়ের প্রতি পূর্ণ সংহতি জানায়।
এদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগ বলেছে, চীন ও রাশিয়ার মধ্যে উষ্ণ সম্পর্ক বৈশ্বিক নিরাপত্তার ক্ষতি করছে। তবে, ওয়াশিংটন এ সামরিক মহড়ার ব্যাপারে কোন বক্তব্য দেয়নি।