বিগত ২০২১-২২ অর্থবছরের চূড়ান্ত হিসাবে ৩ লাখ ১ হাজার ৬৩৪ কোটি টাকার রাজস্ব আয় হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মুহাম্মদ রহমাতুল মুনিম।
বিগত অর্থবছরের এই রাজস্ব আয় এর আগের ২০২০-২১ অর্থবছরের তুলনায় ৪১ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা বা ১৬ দশমিক ০৯ শতাংশ বেশি। তবে গত অর্থবছরের জন্য সরকার নির্ধারিত ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আহরণ লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রাজস্ব আয় কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে।
রোববার রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ রাজস্ব ভবন সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান এনবিআর চেয়ারম্যান।
রহমাতুল মুনিম বলেন, ‘গত অর্থবছরের রাজস্ব আয় লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৮ দশমিক ৬ শতাংশ পিছিয়ে থাকলেও আমরা যে প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি, সেটাকে বিশ্ব অর্থনীতির শ্লথ গতি বা বৈশ্বিক অর্থনীতির বর্তমান প্রেক্ষিতে খারাপ বলা যাবে না।’
তিনি জানান, গত অর্থবছরে আন্তর্জাতিক আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বা শুল্ক খাত থেকে গত অর্থবছরে আয় হয়েছে ৮৯ হাজার ৪২৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা, এক্ষেত্রে অর্জিত প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ৯ শতাংশ। মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট থেকে রাজস্ব আয় হয়েছে ১ লাখ ৮ হাজার ৪১৮ কোটি ২৩ লাখ টাকা। প্রবৃদ্ধি ১১ দশমিক ৯ শতাংশ। এছাড়া আয়কর ও ভ্রমণ কর থেকে আয় হয়েছে ১ লাখ ৩ হাজার ৭৯১ কোটি ৮১ লাখ টাকা। আয়কর খাতে ২১ দশমিক ৭৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
অনুষ্ঠানে নতুন অর্থবছরের রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা প্রসঙ্গে তুলে রহমাতুল মুনিম বলেন, বিশেষ করে আয়কর খাতে করনেট সম্প্রসারণ করে কর আহরণের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। এবারের বাজেটে অনেকগুলো সরকারি সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে আয়কর রিটার্ণ সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক বা প্রাপ্তি স্বীকারপত্র বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর ফলে নতুন অর্থবছরে উল্লেখযোগ্য হারে করনেট সম্প্রসারিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে এনবিআরের সদস্য আব্দুল মান্নান শিকদার, সামস উদ্দিন আহমেদ, জাকিয়া সুলতানাসহ অন্যান্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।