গতরাতে হারারেতে জিম্বাবুয়ের কাছে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে ১০ রানে হেরে সিরিজ হাতছাড়া করে বাংলাদেশ। প্রথমবারের মত টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারলো টাইগারার।
সিরিজ নির্ধারনী ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৩ ওভার শেষে ৬ উইকেটে ৬৭ রান তুলে মহাচাপে পড়েছিলো জিম্বাবুয়ে। তবে বাংলাদেশের স্পিনার নাসুম আহমেদের করা ১৫তম ওভার থেকে ৩৪ রান তুলেন জিম্বাবুয়ের ব্যাটার রায়ান বার্ল। ৫টি ছক্কা ও ১টি চার মারেন বার্ল। আর এই ওভারের কারনেই খাদের কিনারা থেকে উঠে আসার আত্মবিশ^াস পেয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। ফলে শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৫৭ রান তুলে জিম্বাবুয়ে।
বার্লের ২৮ বলে ৫৪ রানে বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জিং স্কোর ছুঁড়ে দেয় জিম্বাবুয়ে। পরে ব্যাটাররা বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হলে ৮ উইকেটে ১৪৬ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ।
ম্যাচ হারের কারন হিসেবে নাসুমের করা ইনিংসের ১৫তম ওভারকে কাঠগড়ায় তুলেছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে মোসাদ্দেক বলেন, ‘হতাশ তো অবশ্যই। প্রথম ১৪ ওভার পর্যন্ত পুরো ম্যাচে আমরাই এগিয়ে ছিলাম। আমার কাছে মনে হচ্ছে একটা ওভার আসলে পুরো ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। ঐ ওভারে ২০ রান হলে হয়তো আমরা ম্যাচের মধ্যেই থাকতাম। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দ্রুত উইকেট হারাতে থাকলে চেজ করা খুবই কঠিন হয়ে যায়। টি-টোয়েন্টিতে অবশ্যই ক্যালকুলেটিভ খেলতে হবে যেটা হয়তো আমরা ব্যাটিংয়ে পারিনি। যে কারনে আমরা ম্যাচ হেরেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ম্যাচ থেকে সরে যাচ্ছি মিডল ওভারে। বোলিংয়ের দিকে তাকালে দেখা যাবে মিডল ওভারে আমরা উইকেট বের করতে পারছি না। ব্যাটিংয়েও একই, মিডল ওভারে যেভাবে রান করা দরকার সেভাবে হচ্ছে না। এ কারণে আমরা শেষের দিকে চাপে পড়ে যাচ্ছি। আমার মনে হয় এ জায়গা থেকে বের হয়ে আসতে পারলে আমরা ভালো করতে পারবো।’
সর্বশেষ ১৫টি টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের জয় মাত্র ২টিতে। আফগানিস্তান ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দু’টি জয় পায় তারা। ধারাবাহিকতা না থাকায় এমন বাজে পারফরমেন্স বাংলাদেশের। মোসাদ্দেক বলেন, ‘আপনি যদি ধারাবাহিক না থাকেন তাহলে এটা অবশ্যই চিন্তার কারণ। অবশ্যই আমাদের এই জায়গাগুলোতে ধারাবাহিক হতে হবে। যদি আমরা ভালো দল হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে আরও বেশি উন্নতি করতে চাই বা সফল হতে চাই আমি মনে করি দু’একটা বিভাগ দেখলে হবে না পুরো দল নিয়েই চিন্তা করতে হবে।’