রাজধানীর ভাটারা থানাধীন এলাকায় কুড়াল দিয়ে আঘাত করে স্ত্রীর জোবেদা খাতুনকে খুনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় স্বামী আবুল কাশেমকে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
গতকাল শনিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার এসআই মোহাম্মদ সুমন মিয়া আসামি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মতি হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলামের আদালতে পরে আসামি আবুল কাশেম ফৌজদারী কাযবিধির ১৬৪ ধারা মতে জবানবন্দি দেন।
জবানবন্দী শেষে আসামি আবুল কাশেমকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
গত ১১ জুন সকাল ৯টার দিকে ভাটারার সোলমাইদ পূর্বপাড়া কাজিবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। স্বামী কাশেম কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতের কাছে থাকা কুড়াল দিয়ে জোবেদার মাথায় আঘাত করলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।
মামলা অভিযোগ থেকে যানাযায়, এই দম্পতির দুই সন্তান আছে। তারা কাজী বাড়িতে ভাড়া থাকে। তবে অভাব-অনটন ও অন্যান্য কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়াঝাটি লেগে থাকতো। ঘটনার দিন সকালেও স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে কাশেম কুড়াল দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করলে সেখানে স্ত্রী মারা যান। কাশেমকে আশপাশের বাসিন্দারা আটক করেন এবং পুলিশে খবর দেয়। এ ঘটনায় ভিকটিম জোবেদা খাতুনের ভাই আবুল হাসেম আকন্দ ভাটারা থানার এ হত্যার মামলাটি দায়ের করেন।