মস্কো ও কিয়েভ শুক্রবার একে অপরের বিরুদ্ধে রুশ-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে ইউক্রেনের যুদ্ধবন্দীদের আটকে রাখা একটি কারাগারে বোমা হামলার জন্য অভিযুক্ত করেছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, হামলায় ৫০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছে এবং হামলাকে তিনি যুদ্ধাপরাধ বলে অভিহিত করেছেন।
এদিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয় অভিযোগ করেছে যে, সৈন্যদের আত্মসমর্পণ থেকে বিরত রাখার জন্য একটি ‘ভয়াবহ উস্কানি’ হিসাবে ইউক্রেন মার্কিন সরবরাহকৃত দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে এই হামলা চালিয়েছে।
এতে বলা হয়ে নিহতদের মধ্যে ইউক্রেনীয় বাহিনীর সদস্যরাও রয়েছেন, যারা রাশিয়ান হামলায় কয়েক সপ্তাহ মারিউপোলে আজভস্টাল স্টিল কারখানায় অবরুদ্ধ ছিল, পরে তারা আত্মসমর্পন করে।
তবে জেলেনস্কি কারাগারে এই হামলার জন্য রাশিয়ার ওপর দায় চাপিয়েছেন।
‘এটি একটি ইচ্ছাকৃত রাশিয়ান যুদ্ধাপরাধ ছিল, ইউক্রেনের যুদ্ধবন্দীদের একটি ইচ্ছাকৃত গণহত্যা,’ জেলেনস্কি শুক্রবার রাতে জাতির উদ্দেশ্যে তার দৈনিক ভাষণে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, এ হামলায় ‘৫০ জনের বেশি মারা গেছে।’
জেলেনস্কি বলেছেন, আজভস্টাল যোদ্ধাদের তাদের অস্ত্র সমর্পনের জন্য একটি চুক্তি হয়েছে, জাতিসংঘ এবং রেড ক্রস আন্তর্জাতিক কমিটির মধ্যস্থতায় এই চুক্তি হয়, এতে তাদের স্বাস্থ্য এবং সুরক্ষার গ্যারান্টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে এবং গ্যারান্টার হিসাবে তিনি এই দুটি সংস্থাকে হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
জেলেনস্কি রাশিয়াকে আনুষ্ঠানিকভাবে সন্ত্রাসবাদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ঘোষণা করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিআহ্বান জানান।
তিনি বলেন, এ বিষয় ‘একটি সিদ্ধান্ত প্রয়োজন, এখনই প্রয়োজন।’
কিয়েভের প্রতি ওয়াশিংটনের অব্যাহত সমর্থনের কথা উল্লেখ করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন তার রুশ প্রতিপক্ষ সের্গেই ল্যাভরভের সাথে শুক্রবার যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবারের মতো কথা বলেছেন, তিনি রাশিয়ান বাহিনীর ইউক্রেনের আরো কোনো ভূখন্ড দখল করার প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে মস্কোকে সতর্ক করেন।