পবিত্র ঈদ-উল আযাহাকে সামনে রেখে কুমিল্লার বিভিন্ন হাট-বাজারে জমে উঠতে শুরু করেছে কোরবানীর পশুর হাট। জেলার চান্দিনা উপজেলায় ৪টি নির্ধারিত পশুর হাট থাকলেও ঈদ উপলক্ষে ১৭ টি স্থানে অস্থায়ী হাট বসেছে। পশুর হাট ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা, নির্বিঘেœ যাতায়াত, জাল নোট শনাক্তকরণ মেশিনসহ ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
চান্দিনার কয়েকটি গরুবাজারে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, প্রচুর সংখ্যক কোরবানীর পশু বিক্রির জন্য বাজারে আনা হয়েছে। ঈদের আরও সপ্তাহ খানেক বাকি থাকলেও পশু বিক্রি হচ্ছে ভালোই। বাজার ইজারাদার হাজী মো. শামীম হোসেন এর তথ্যানুসারে জানাযায়, এবার পশুর দাম মোটামুটি ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে। চান্দিনার ছায়কোট বাজারে গরু, ছাগল ও খাশি মিলিয়ে ৬শতাধিক কোরবানীর পশু বিক্রি হয়েছে। তিনি আরও জানান, তাদের মূল লক্ষ্য আগামী মঙ্গলবার ও শনিবার এর বাজার। এ দুইটি বাজার ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন তারা। ইতোমধ্যে বাজারের ভিতরে প্রবেশের প্রধান সড়কটি নতুন করে মেরামত করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বিক্রেতারা বলছেন, দাম ঠিক রেখেই বিক্রির চেষ্টা চলছে। তবে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই বলছেন, ঈদের দুই থেকে তিন দিন আগেই মূলত ভালভাবে বেচা-কেনা শুরু হবে। এবার কোরবানীর পশুর সরবরাহ বেশি থাকায় দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্থানীয়রা গরুকে বিভিন্ন ভাবে সাজিয়ে বাজারে তুললেও দূরের ব্যবসায়ীরা ট্রাক যোগে প্রচুর সংখ্যক গরু বাজারে তুলেছেন। বাজারে বিভিন্ন আকারের গরু, খাসি উঠেছে।
চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আরিফুর রহমান বাসসকে বলেন, ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে পুলিশ ও বাজার কমিটির স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে পৃথক টিম গঠন করা হয়েছে। স্থায়ী বাজারগুলোতে জালনোট শনাক্ত করণ মেশিন বসানো হয়েছে। নির্বিঘেœ ক্রয়-বিক্রয় করার যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।