পদ্মা সেতুতে যান চলাচলের পর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার প্রবেশদ্বার মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট ছিলো আজ অনেকটাই ফাঁকা। এই ঘাটের ইতিহাসে এটা বিরল ঘটনা।
শিমুলিয়া ঘাটের সহ-মহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম জানান, সকাল থেকে এই ঘাটে কোন ধরনের যান আসেনি। এমনকি কোন পণ্যবাহী কোন পিকাপ, ট্রাকও আসেনি। একটিও কোন ধরনের আজ ঘাটে আসেনি। তাই কোন ঘাট থেকে ফেরি ছেড়ে যায়নি।
এতদিন এই ঘাট দিয়েই ওই অঞ্চলের যাত্রীরা লঞ্চ, স্পিডবোট বা ফেরি করে পাড়ি দেয় উত্তাল পদ্মা। ঘাট ছিল সরগরম। কিন্তু আজকে চিত্র পুরোটাই উল্টো। শিমুলিয়া মাঝিরকান্দি রুটে সকাল থেকে কোন ফেরি ছেড়ে যায়নি বা মাঝিরকান্দি থেকেও শিমুলিয়া ঘাটে কোন ফেরি আসেনি।
শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর আজ রোববার ভোর ৫টা ৫০ মিনিট থেকে যান চলাচলের জন্য তা খুলে দেয়া হয়। এর প্রভাব পড়েছে ফেরি, লঞ্চ ও স্পিডবোট ঘাটে। ঘাট এলাকা অনেকটাই যানবাহন শূণ্য ও কোলাহলমুক্ত দেখা গেছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) শিমুলিয়া বন্দর কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন বলেন, আজ সকাল থেকেই ঘাট থেকে লঞ্চ- ¯িপডবোট যথা নিয়মে চলাচল করছে, তবে যাত্রীর সংখ্যা অনেকটাই কম। সকাল থেকে সীমিত আকারে স্পিডবোট ও লঞ্চ চলছে। যেখানে ১৫৫ টি স্পিডবোট দিয়ে যাত্রী পার করে কুলানো যায় না সেখানে ১২টি স্পিডবোট আর ৮৭টি লঞ্চের মধ্যে ৮টি লঞ্চ শিমুলিয়া থেকে মাঝিরকান্দি ও বাংলাবাজারের উদ্দেশে ঘাট ছেড়েছে। এতেও কম যাত্রী নিয়েই পদ্মা পাড়ি দিয়েছে।