জেলার সারিয়াকান্দিতে যমুনার পানি কমতে শুরু করেছে। ফলে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করেছে। তবে জেলা বাঙালী নদীর পানি স্থিতিশীল রয়েছে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা গেছে- গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানি ১৫ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে বিপৎসীমার ৪৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে বাঙালী নদীর পানি গত বুধবার থেকে বিপৎসীমার ৫ দশমিক ৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রাবাহিত হচ্ছে।
যমুনা নদীর পানি কমতে শুরু করায় নতুন করে কোন গ্রাম প্লাবিত হয়নি। বাঁধে আশ্রয় নেয়া বানভাসী মানুষ নিজ-নিজ বাড়িতে যাবার অপেক্ষায় আছে। বন্যায় প্লাবিত বিদ্যালয়গুলো থেকে পানি মেনে যেতে শুরু করেছে। তবে ৫৮ টি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় এখনও পাঠদনের উপযোগী হয়নি।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা জানান, বন্যা কবলিত তিনটি উপজেলা সোনাতলা, সারিয়াকন্দি ও ধুনটে এ পর্যন্ত ১০০ টন চাল, নগদ ১৫ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো. জিয়াউল হক প্রতিদিন বিভিন্ন উপজেলায় ত্রাণ তৎপরতা চালাচ্ছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক দুলাল হোসেন জানান, বন্যার পানি নেমে না গেলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপন করা সম্ভব হচ্ছে না।