চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোর বিস্ফোরণ ঘটনায় আরও একজনের মরদেহের পোড়া গাড়গোড় উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৯ জনে।
আজ সোমবার বিকেলে ডিপোর ভেতরে শেডের নিচে চাপা পড়া অবস্থায় ওই দেহাবশেষ পাওয়া যায়।
সীতাকু- থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘দুপুরের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় শেডের নিচে চাপা পড়া অবস্থায় একটি দেহাবশেষের কিছু হাড়গোড় দেখতে পাই। আমরা আপাতত এটিকে মরদেহের দেহাবশেষ হিসেবে ধরছি।’
গত ৪ জুন রাতে সীতাকু-ের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে আগুন লাগার পর একের পর এক বিস্ফোরণে তা ছড়িয়ে পড়ে। ডিপোতে থাকা রাসায়নিকের কারণে ছড়িয়ে পড়া ওই আগুন ৮৬ ঘন্টা পর বিভিন্ন বাহিনীর চেষ্টায় নেভানো হয়।
ভয়াবহ ওই অগ্নিকা- ও বিস্ফোরণে প্রথমে ৪১ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর ৭ জুন দুর্ঘটনাস্থল থেকে আরও দু’জনের দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়। পরদিন সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় একজন। সেদিন সন্ধ্যায় ডিপোর ভেতরে আরও দু’জনের দেহাবশেষ পাওয়া যায়।
সর্বশেষ রোববার ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ফায়ার সার্ভিসকর্মী গাউসুল আজম। আর চট্টগ্রামের বেসরকারি পার্ক ভিউ হাসপাতালে মারা যান কন্টেইনার ডিপোর আরেক কর্মী নুরুল কাদের।