রাজধানীর শাহজাহানপুরে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপসহ দু’জনের হত্যাকান্ডের ঘটনায় করা মামলায় শুটার সুমন শিকদার মুসার ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ শুক্রবার মুসাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ।এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তার বিরুদ্ধে ১৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত সংস্থা ডিবি পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিট ম্যাজিষ্ট্রেট ফারাহ দিবা ছন্দা তার ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এরআগে এ হত্যা মামলায় বগুড়া থেকে গ্রেফতারকৃত শুটার মাসুম মোহাম্মদ ওরফে আকাশের স্বীকারোক্তিমূলক জবাববন্দির ভিত্তিতে মূল পরিকল্পনাকারী ও সমন্বয়কারী হিসেবে মুসাকে ওমান থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। মুসা গত ১২ মার্চ দেশ ছেড়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে চলে যান। তার সন্ধান পেতে ৬ এপ্রিল পুলিশ সদরদপ্তরের এনসিবি শাখায় যোগাযোগ করে।
পুলিশ সদরদপ্তর ৮ এপ্রিল মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ইন্টারপোলের মাধ্যমে যোগাযোগ শুরু করে। এরমধ্যে ৮ মে জানা যায়, মুসা দুবাই থেকে ওমানে প্রবশ করেছেন। ইন্টারপোলের ওমান পুলিশ এনসিবির সহযোগিতায় গত ১২ মে মুসাকে গ্রেফতার করা হয়। বাংলাদেশ পুলিশের একটি টিম ওমানে গিয়ে বৃহস্পতিবার (৯ জুন) মুসাকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন।
গত ২৪ মার্চ রাত সোয়া ১০টার দিকে রাজধানীর শাহজাহানপুরে ইসলামী ব্যাংকের পাশে বাটার শো-রুমের সামনে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপুকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এসময় গাড়ির পাশে রিকশায় থাকা সামিয়া আফরান প্রীতি (১৯) নামে এক কলেজ ছাত্রীও নিহত হন। এছাড়া টিপুর গাড়িচালক মুন্না গুলিবিদ্ধ হন।
চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকান্ডের পর ওইদিন রাতেই শাহজাহানপুর থানায় নিহত টিপুর স্ত্রী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সংরক্ষিত কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলি বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। এতে অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারে টিপুর স্ত্রী অভিযোগ করেন, ২৪ মার্চ রাত সোয়া ১০টার দিকে শাহজাহানপুর থানার ২০২ উত্তর শাহজাহানপুর মানামা ভবনের বাটার দোকানের সামনে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা টিপুকে লক্ষ্য করে গুলি করে। টিপুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি করেন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।