প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার টেকসই বন ব্যবস্থাপনাকে অগ্রাধিকার দিয়ে সহযোগিতামূলক বন ব্যবস্থাপনা এবং সামাজিক বনায়নে স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করেছে।
এতে বনজ সম্পদ উন্নয়ন, সংরক্ষণ ও বন পুনরুদ্ধার কার্যক্রম জোরদার হওয়ায় দেশে বৃক্ষাচ্ছাদনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে বৃক্ষাচ্ছাদনের পরিমাণ দেশের মোট ভূমির ২২.৩৭ভাগ। আমাদের গৃহীত কার্যক্রমের ফলে এ হার আগামী ২০৩০ সাল নাগাদ ২৫ভাগএ উন্নীত করা সম্ভব হবে।’
প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল ‘জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা-২০২২’ উপলক্ষে আজ এক বাণীতে একথা বলেন। তিনি বলেন, ‘জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা-২০২২ পালিত হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত। এছাড়াও দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- ‘বৃক্ষপ্রাণে প্রকৃতি-প্রতিবেশ, আগামী প্রজন্মের টেকসই বাংলাদেশ’ যৌক্তিক এবং সময়োপযোগী হয়েছে বলে মনে করেন তিনি। এবছর যাঁরা ‘বঙ্গবন্ধু এওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন, ২০২০ ও ২০২১’, ‘বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরষ্কার, ২০১৯ ও ২০২০’, এবং যে সকল উপকারভোগী সামাজিক বনায়নের লভ্যাংশ পেয়েছেন তাঁদের তিনি আন্তরিক অভিনন্দন জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে অপরূপ এই বাংলাদেশ। মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণসহ প্রকৃতি ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষের ভূমিকা অনস্বীকার্য। জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ টেকসই পরিবেশ ও প্রতিবেশ সংরক্ষণ, কার্বন আধার সৃষ্টি, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা, কর্ম-সংস্থান সৃষ্টি ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে বৃক্ষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
প্রত্যেককে কমপক্ষে একটি করে ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা রোপণের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ আমরা গড়ে তুলতে সক্ষম হব, ইনশাল্ল¬াহ।’ তিনি ‘জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা-২০২২’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।