আদালতের আদেশের পরও মামলা নিতে দেরি করায় নওগাঁর বদলগাছী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আতিকুল ইসলামকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার নওগাঁর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম এই নির্দেশ দেন।
নওগাঁর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গত ১০ এপ্রিল মো. নুরুল ইসলাম নামে একজন বাদী নওগাঁর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মো. ফারুকসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে নালিশী দরখাস্ত করেন। পরে নালিশী আবেদনটি এজাহার হিসেবে রজু করার নির্দেশ দেন নওগাঁর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম। দরখাস্তটি আদেশ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এজাহার হিসেবে গণ্য করে মামলা রজু করতে নির্দেশ দেন আদালত। ওসি আদালতের আদেশ পাওয়ার ১২ দিন পর মামলা রজু করেন। এ কারণে পুলিশ আইনের ২৯ ধারার অভিযোগ আমলে নিয়ে কেন তাকে শাস্তি প্রদান করা হবে না জানতে চেয়ে আগামি ২২ মে তারিখে সংশ্লিস্ট আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে কারণ দর্শানোর আদেশ দেন আদালত।
বিষয়টিকে আদেশ লঙ্ঘন এবং আদালত অবমনার শামিল হিসেবে গণ্য করেছেন আদালত।
আদেশে আদালত বলেছেন, আদেশ প্রাপ্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মামলা রুজু করার আদেশ থাকা সত্ত্বেও বদলগাছী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আদেশ প্রাপ্তির দীর্ঘ ১২ দিন পর মামলা রুজু করেছেন। তা আদালতের আদেশের লঙ্ঘন এবং আদালত অবমাননার শামিল। বদলগাছী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আদালতের আদেশকে ইচ্ছাকৃতভাবে অমান্য করে ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন। সে কারণ বদলগাছী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আতিকুল ইসলামের এই ধরনের কর্মকাণ্ড পুলিশ আইনের ২৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এমতাবস্থায় বদলগাছী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পুলিশ আইনের ২৯ ধারার অভিযোগ আমলে নিয়ে কেন শাস্তি প্রদান করা হবে না, আগামী ২২ মে আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে তার লিখিত কারণ দর্শানোর আদেশ দেয় আদালত।
জানতে চাইলে বদলগাছী থানার ইনচার্জ মো. আতিকুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আদালতের কারণ দর্শানোর আদেশের বিষয়টি আমি জানি না।’