সাভারের আশুলিয়ায় চলন্ত বাসে এক নারী পোশাক শ্রমিককে গণধর্ষণের অভিযোগে বাসচালকসহ পাচঁ জনের প্রত্যাককে তিন দিন করে রিমান্ড মন্জুর করেছে আদালত।
আরেক আসামি সুমন (২৪) আদালতে দোষস্বীকার করে জবানবন্দী দেওয়া তাকে কারগারে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহজাদী তাহমিদার আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকতা আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আবদুর রশিদ আসামীদের হাজির করে প্রত্যাককের পাচঁ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন। আদালত শুনানী শেষে তিন দিন করে রিমান্ড মন্জুর করেন।
রিমান্ডে নেওয়া আসামিরা হলেন- আরিয়ান (১৮),সাজু(২০), মনোয়ার (২৪) সোহাগ (২৫) ও সাইফুল ইসলাম (৪০)। তারা সবাই তুরাগ থানার কামারপারা ভাসমান এলাকায় ভাড়া থেকে আব্দুল্লাহপুর-বাইপাইল-নবীনগর মহাসড়কে মিনিবাস চালাতেন।
মামলার অভিযোগ থেকে যানাযায়,গত শুক্রবার রাত ১টার দিকে আশুলিয়া-সিঅ্যান্ডবি বাইপাস সড়কের আশুলিয়া গরুর হাট এলাকায় একটি মিনিবাস থেকে নারীর চিৎকার শুনে টহল পুলিশ গাড়িটিসহ আসামিদের আটক করে।সে সময় গাড়ির ভেতরে থাকা ভুক্তভোগী ভিকটিম জানায়— তিনি শুক্রবার (২৮ মে) সকালে চাষাড়া থেকে মানিকগঞ্জে বোনের বাসায় বেড়াতে আসেন। রাতে পুনরায় চাষাড়া যাওয়ার উদ্দেশে নবীনগর আসেন। পরে সেখানে তার পূর্বপরিচিত এলাকার ভাই নাজমুলের সঙ্গে দেখা হলে একসঙ্গে তারা টঙ্গী যাওয়ার জন্য একটি মিনিবাসে (ঢাকা মেট্রো জ-১১-১৬৪৮) উঠেন। বাসটি আব্দুল্লাহপুর যাওয়ার কিছু আগে সব যাত্রী নেমে যায়। পরে বাসটিতে থাকা তাকে ও তার পূর্বপরিচিত নাজমুলকে নামতে দেননি চালক ও হেলপার। পরর্বতীকালে ওই বাসটির হেলপারের সঙ্গে আরও চারজন বিভিন্ন জায়গা থেকে গাড়িটিতে উঠেন। পরে নাজমুলকে আটকে রেখে হেলপারসহ মোট ছয়জন চলন্ত বাসে তাকে গণধর্ষণ করে। তরুণী ভিকটিমের বাড়ি লালমনিরহাট ও বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ চাষাড়ায় থেকে সেখানে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন জানান। ভুক্তভোগী নারী ছয় জনের নামে সাভার থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছেন। ভিকটিমকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে। আসামি সুমন (২৪) ফৌজদারী কাযবিধির ১৬৪ ধার মতে আদালতে দোষস্বীকার করে জবানবন্দী দেওয়া আদালত তাকে কারগারে পাঠানো নির্দেশ দেন।