যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ম্যাডেলিন অলব্রাইট মারা গেছেন। তিনি বুধবার ৮৪ বছর বয়সে মারা যান।
তার সময়ের অত্যন্ত প্রভাবশালী ম্যাডেলিন ক্যান্সারে ভুগছিলেন।
তার পরিবার এক ঘোষণায় এ কথা জানিয়ে বলেছে, ম্যাডেলিন পরিবারের সদস্য ও স্বজন বেষ্টিত হয়ে মারা গেছেন।
পরিবারের বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ‘আমরা একজন স্নেহময়ী মা, একজন দাদি, একজন বোন, একজন চাচি, খালা, ফুফু ও একজন বন্ধুকে হারলাম। তিনি ছিলেন গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের অক্লান্ত চ্যাম্পিয়ন।’
ম্যাডেলিন ১৯৯৭ সালে প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের প্রশাসনে চার বছরের জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি অভিবাসী আমেরিকান। তার জন্ম ১৯৩৭ সালে চেক প্রজাতন্ত্রের প্রাগে।
তাঁর বাবা ছিলেন চেকোস্লোভাকিয়ার একজন কূটনীতিক। জার্মান সেনারা চেকোস্লোভাকিয়া দখলে নেওয়ার পর তিনি ১৯৩৯ সালে রাজনৈতিক আশ্রয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যান।
তিনি ১৯৫৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পান। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের প্রশাসনে হোয়াইট হাউসে কাজ করতেন অলব্রাইট। এরপর তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েক জন প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর পররাষ্ট্রনীতি-বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
বিল ক্লিনটন ১৯৯৩ সালে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর অলব্রাইটকে জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেন। এটা কূটনীতিক হিসেবে অলব্রাইটের প্রথম পদ।
এরপর ১৯৯৭ সালে বিল ক্লিনটন দ্বিতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে অলব্রাইটকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী করেন। যুক্তরাষ্ট্রর ইতিহাসে ম্যাডেলিন হলেন প্রথম নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ম্যাডেলিনের মৃত্যুতে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন, জর্জ ডব্লিউ বুশ, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন ও যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস শোক প্রকাশ করেন।