ইউক্রেনের প্রায় সর্বত্র শনিবার বিমান হামলার সতর্কসংকেত বাজানো হয়েছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের প্রায় প্রতিটি অঞ্চলে বিমান হামলার সতর্কসংকেত বাজার মধ্যেই গোলাবর্ষণের খবর এসেছে।
এদিকে রাজধানী কিয়েভ ঘিরে রেখেছে রুশ সেনাবাহিনী। ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরের বেসামরিক স্থাপনায় রুশ বাহিনী হামলা চালিয়েছে।
খারকিভ, চেহেরনিভ, সুমি ও মারিওপোলের মতো শহরগুলো ঘিরে রেখেছে রুশ বাহিনী। তারা শহরগুলোতে ব্যাপক বোমা হামলা চালাচ্ছে।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের উপকণ্ঠে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক লড়াই চলছে। কিয়েভে রাশিয়ার সর্বাত্মক হামলার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এর মধ্যে বন্দর নগরী মারিওপোলসহ অন্যান্য শহরে জরুরি ত্রাণ সহায়তা সরবরাহে নতুন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
রুশ বাহিনীর অব্যাহত হামলায় দেশটিতে মানবিক সংকট তীব্র রূপ নিয়েছে। ইউক্রেনীয় ও রুশ উভয় দেশের কর্মকর্তারাই শনিবার স্বীকার করেছেন, দ্রুত অবনতিশীল মানবিক পরিস্থিতি ভয়ংকর রূপ নিয়েছে।
এদিকে, কিয়েভের দক্ষিণাঞ্চলে ভাসিলকিভ শহরের কাছে রাশিয়ার রকেট হামলায় ইউক্রেনের একটি বিমানঘাঁটি ধ্বংস হয়ে গেছে। এ ছাড়া ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর গোলাবারুদ মজুত করে রাখার একটি স্থাপনায় (ডিপো) রুশ হামলা হয়েছে। শহরটির মেয়রকে উদ্ধৃত করে রুশ সংবাদ সংস্থা ইন্টারফ্যাক্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
মস্কোয় দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, রুশ স্থলবাহিনী একদিনে ১২ কিলোটিার পথ পাড়ি দিয়ে অনেকদূর অগ্রসর হয়েছে। তবে তাদের অবস্থান ঠিক কোথায় সে সম্পর্কে সুনির্র্দিষ্টভাবে কিছু বলা হয়নি।
এছাড়া রুশ পন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীরাও সেভোরোডোনেটস্ক শহরের প্রান্তে পৌঁছে গেলে বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
এদিকে উপগ্রহ থেকে তোলা ছবিতে রাজধানী কিয়েভ থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার উত্তরের শহর মশচুনের বাড়িঘর গোলার আগুনে জ্বলতে দেখা গেছে।
কিয়েভের উপকণ্ঠে রাশিয়ার গোলাবর্ষণের পর আবাসিক ভবন থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে।
কিয়েভে রাশিয়ার সর্বাত্মক হামলার আশংকার প্রেক্ষিতে শহরটির মেয়র ভিটালি ক্লিসকো বলেন, অবরুদ্ধ শহরটিতে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার এবং খাদ্য ও ঔষধ মজুদ করা হয়েছে।
এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, আমরা হাল ছাড়ব না।
ইউক্রেনের জাতীয় জরুরি সেবা বিভাগ বলছে, লুহানস্ক অঞ্চলের সেভোরোডোনেটস্ক ও রুবিজন শহরে রাশিয়ার গোলায় কয়েক ডজন আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শহর দুটিতে গোলাবর্ষণে বড় ধরনের অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
জাতীয় জরুরি সেবা বিভাগের তথ্যমতে, রুশ সেনারা রাতভর গোলাবর্ষণ করেছে। এতে শহর দুটির প্রায় ৬০টি ব্যক্তি মালিকানাধীন বাড়ি ও আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেনস্কি এক ভিডিও বার্তায় দেশবাসীর প্রতি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি তার দেশের মিত্রদের প্রতি আরো কিছু করার অনুরোধ জানান।