সিদ্ধান্ত গ্রহণের জায়গায় নারীর অবস্থান আরও দৃঢ় করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
আন্তজার্তিক নারী দিবস উপলক্ষে আজ রাজধানীর আগারগাঁয় পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) আয়োজিত সভায় একথা বলেন তিনি। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশসহ পুরো পৃথিবী থেকে নারীর প্রতি সহিংসতা দূর করতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় রীতি-নীতিতে একজন নারীকে অসংখ্য ‘না’ এর মাঝে বেড়ে উঠতে হয়। এতো বেশি নেতিবাচক কথা শুনতে শুনতে একজন নারীর চারপাশে একটি শক্ত দেওয়াল তৈরি হয়।
তিনি বলেন, না’র দেয়ালটাকে ভাঙার জন্য নারীকে সাহস জোগাতে হবে। তার অন্তর্নিহিত শক্তিটাকে উপলদ্ধি করতে সচেতনতা সৃষ্টিতে উদ্যোগী হতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী নারীর অধিকার ও রাজনীতি প্রসঙ্গে বলেন, নারীরা এগিয়েছে, তারপরও যে রাজনীতি নারীর পক্ষে, মানুষের পক্ষে, মানবাধিকারের পক্ষে সেই রাজনীতি তাকে বেছে নিতে হবে। যে রাজনীতি নারীর অধিকারের স্বীকৃতি দেয় না, তার কী দরকার?
দিপু মনি বলেন, ‘আমরা চাকরিতে অনেক জায়গায় দেখছি নারী। এছাড়া ৭২-এর সংবিধানে নারীর সমানাধিকারের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু আজ যারা নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করেন সেখানেও ক্ষমতায়নে নারীর অবস্থান তৈরি হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘১৯৯৭ সালের নারী নীতিমালা একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। ১৯৯৭ সালের নারী নীতির মৌলিক কতগুলো বিষয় ছিলো। সম্পত্তিতে নারীর সমান অধিকারসহ বিভিন্ন মৌলিক বিষয় ছিলো। কিন্তু ২০০৫ সালে রাতের অন্ধকারে সেই নারী নীতিকে ছিঁড়ে-খুঁড়ে একেবারে ধ্বংস করে দেওয়া হলো। কারণ তখন যে সরকার সেই সরকারের মূল অংশে ছিলো একটি মৌলবাদী দল।’
তিনি বলেন, ‘নারী নীতি পাল্টে ফেলার পর যা হলো, আবার যখন ২০১১ সালে নারী নীতি করা হয়, কিন্তু মৌলিক যে পরিবর্তন আনা হয়েছিল, আমাদের রাজনীতির চেহারা এতোখানি পাল্টে গেল আমরা ১৯৯৭ সালের নীতিমালার মৌলিক জায়গায় ফিরে যেতে পারিনি। কিন্তু আমাদের ওই জয়গায় যেতে হবে।’