নিউৃজিল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের দীর্ঘ দিনের রেকর্ড অক্ষুন্ন রেখেছে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল। চলতি সিরিজে স্বাগতিকদের কাছে প্রথম টেস্ট হেরে সিরিজে পিছিয়ে পড়েছিলো দক্ষিণ আফ্রিকা। এতে প্রথমবারের মত দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জয়ের সুযোগ পেয়েছিলো নিউজিল্যান্ড। এজন্য সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে জয় বা ড্র করতে হতো কিউইদের। কিন্তু দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট ১৯৮ রানের বড় ব্যবধানে জিতে সিরিজ সমতায় শেষ করলো দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই ম্যাচের সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ হলো। যার মাধ্যমে অক্ষত থাকলো ৯০ বছর যাবত দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের টেস্ট জিততে না পারার রেকর্ড। ১৯৩২ সালে প্রথমবার টেস্ট সিরিজে মুখোমুখি হয় নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা।
ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের চতুর্থ দিন শেষেই জয়ের গন্ধ পাচ্ছিলো দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়াদের ছুঁড়ে দেয়া ৪২৬ রানের জবাবে চতুর্থ দিন শেষে ৪ উইকেটে ৯৪ রান করেছিলো নিউজিল্যান্ড। অর্থাৎ, ম্যাচের পঞ্চম ও শেষ দিন ৬ উইকেট হাতে নিয়ে ৩৩২ রান করতে হতো কিউইদের।
দক্ষিণ আফ্রিকার তিন বোলার কাগিসো রাবাদা, র্মাকো জানসেন ও কেশব মহারাজের বোলিং তোপে ২২৭ রানেই গুটিয়ে যায় বিশ^ চ্যাম্পিয়ন নিউজিল্যান্ড।
৬০ রানে দিন শুরু করা ডেভন কনওয়েই যা একটু লড়াই করেছেন। বাকীরা বড় ইনিংসের ধারে কাছেও যেতে পারেননি। ১৮৮ বল খেলে ১৩টি চারে ৯২ রানের ইনিংস খেলে আক্ষেপে পুড়েছেন কনওয়ে। ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি না পাওয়া ও দলের হার এড়াতে না পারার আক্ষেপ ছিলো কনওয়ের।
১ রান নিয়ে শুরু করা উইকেটরক্ষক টম ব্লান্ডেল ৪৪ করে আউট হন। লোয়ার-অর্ডারের কেউই ২০ রানের বেশি করতে না পারলে ৯৩ দশমিক ৫ ওভারেই গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করে ১২০ রানে অপরাজিত থাকা কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম এবার করেন ১৮ রান।
দক্ষিণ আফ্রিকার রাবাদা-জানসেন ও মহারাজ ৩টি করে উইকেট নেন। ৮ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা রাবাদা। আর সিরিজের সেরা হন নিউজিল্যান্ডের হেনরি। সিরিজে ১৪ উইকেট ও ৫৮ রান করেন তিনি।
এই সিরিজ শেষে বিশ^ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ৫ ম্যাচে ৩ জয় ও ২ হারে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থস্থানে উঠলো দক্ষিণ আফ্রিকা। ৬ ম্যাচ শেষে ২ জয়, ৩ হার ও ১ ড্রতে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ষষ্ঠস্থানে নিউজিল্যান্ড।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
দক্ষিণ আফ্রিকা : ৩৬৪ ও ৩৫৪/৯ ডি, ১০০ ওভার (ভেরিনি ১৩৬*, রাবাদা ৪৭, জেমিসন ২/৮১)।
নিউজিল্যান্ড : ২৯৩ ও ২২৭, ৯৩.৫ ওভার (কনওয়ে ৯২, ব্লান্ডেল ৪৪, রাবাদা ৩/৪৬)।
ফল : দক্ষিণ আফ্রিকা ১৯৮ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : কাগিসো রাবাদা (দক্ষিণ আফ্রিকা)।
সিরিজ সেরা : ম্যাট হেনরি (নিউজিল্যান্ড)
সিরিজ : দুই ম্যাচের সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ।