সেপ্টেম্বরে সাও পাওলোতে স্থগিত হয়ে যাওয়া ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনার মধ্যকার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ পুনরায় আয়োজনের নির্দেশ দিয়েছে ফিফা। আর্জেন্টাইন কয়েকজন খেলোয়াড়ের কোভিড-১৯ বিধিনিষেধ ভঙ্গের কারনে ম্যাচটি মাঝপথেই স্থগিত করা হয়েছিল।
গত ৫ সেপ্টেম্বর সাও পাওলো নিও কুইমিকা এরিনাতে দক্ষিণ আমেরিকান দুই পরাশক্তি একে অপরের মুখোমুখি হয়েছিল। কিন্তু অভিযুক্ত খেলোয়াড়দেও ধরতে ম্যাচের সাত মিনিটে ব্রাজিলিয়ান স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা মাঠে প্রবেশ করে। এক বিবৃতিতে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রন সংস্থা ফিফা জানিয়েছে, ‘বিধিবদ্ধ আইনানুযায়ী পুরো বিষয়টির বিভিন্ন দিক দীর্ঘ পর্যালোচনার মাধ্যমে ফিফা ডিসিপ্লিনারি কমিটি ম্যাচটি পুনরায় আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ম্যাচের নতুন তারিখ ও ভেন্যু ফিফার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চূড়ান্ত হবে।’
দক্ষিণ আমেরিকান বাছাইপর্বে দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী এখনো অপরাজিত আছে। ১০ গ্রুপের বাছাইপর্ব থেকে শীর্ষ দুই দল হিসেবে ইতোমধ্যেই তারা বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করেছে। যদিও উভয় দলের হাতেই এখনো তিনটি ম্যাচ বাকি রয়েছে। এর মধ্যে পুন:নির্ধারিত ম্যাচটিও রয়েছে। এই অঞ্চল থেকে শীর্ষ চার দল সরাসরি কাতাওে খেলার সুযোগ পাবে।
ইংল্যান্ড থেকে খেলতে আসা আর্জেন্টাইন চার খেলোয়াড় ব্রাজিলিয়ান সরকারের কোভিড-১৯ আইন ভঙ্গ করে কোয়ারেন্টাইন না মেনেই মাঠে খেলতে নেমেছিল। এ কারনেই ব্রাজিলের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভেইলেন্স এজেন্সি মাঠের ভিতর প্রবেশ করে তাদের বের করে আনে। ক্রিস্টিয়ান রোমেরো ও তার টটেনহ্যাম সতীর্থ গিওভানি লো সেলসো এবং এ্যাস্টন ভিলার এমিলিয়ানো মার্টিনেজ ও এমিলিয়ানো বুয়েনদিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তারা ভুল তথ্য দিয়ে ব্রাজিলে প্রবেশ করেছে।
ম্যাচটির পুনরায় আয়োজনের সিদ্ধান্ত দেবার পাশাপাশি অভিযুক্ত চার আর্জেন্টাইন খেলোয়াড়কে দুই ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ফিফা। একইসাথে দুই দেশের ফেডারেশনকে আর্থিক জরিমানাও করা হয়েছে। অর্ডার ও সিকিউরিটি আইন ভঙ্গের কারনে ব্রাজিলিয়ান ফুটবল এসোসিয়েশনকে ৫ লাখ সুইস ফ্র্যাংক এবং ম্যাচের আইন ভঙ্গের কারনে আর্জেন্টাইন ফুটবল এসোসিয়েশনকে ২ লাখ সুইস ফ্র্যাংক জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়া ম্যাচটি বাতিলের কারনে উভয় ফেডারেশনকে বাড়তি ৫০ হাজার সুইস ফ্র্যাংক জরিমানা করা হয়েছে।