স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকার ইতোমধ্যে ১৭ কোটির বেশি টিকা দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যখাতের সফলতার কারনেই গোটা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে বাংলাদেশ ১৭ কোটির বেশি মানুষ বা দেশের ৮৫ ভাগ মানুষকে ভ্যাক্সিন দিতে সক্ষম হয়েছে।’
জাহিদ মালেক আজ সোমবার রাজধানীর চারটি হাসপাতালে নতুন করে ১২৬ টি ডায়ালাইসিস বেড স্থাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের হাতে এখন ১০ কোটির মতো ভ্যাক্সিন আছে।
এখনো অনেকেই ভ্যাক্সিন নেননি বা নিতে চাচ্ছেন না। আমাদেরকে মনে রাখতে হবে যে, বর্তমানে কোভিডে যারা মারা যাচ্ছেন তাদের ৮৫ ভাগ মানুষই নন ভ্যাক্সিনেটেড। আক্রান্তদের মধ্যে নন ভ্যাক্সিনেটেড মানুষ শীর্ষে।
তিনি বলেন, দেশ কোভিডে মোকাবেলায় এত ভাল করেছে চিকিৎসা সেবা ও সময় মত ভ্যাক্সিনেশন কাজ করার কারনেই। এজন্য ভ্যাক্সিন নিতে দেশের অবশিষ্ট মানুষদের এগিয়ে আসতে হবে।
বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে অন্যতম একটি সভ্য জাতি বলেই দেশের এত বিশাল সংখ্যক মানুষ এত স্বল্প সময়েই ভ্যাক্সিন গ্রহন করেছে।
আগামীতেও বাংলাদেশ সভ্যতার নজির স্থাপন করবে এবং কোভিড মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বের রোল মডেল হবে।
জাহিদ মালেক বলেন, আফ্রিকার দেশগুলিতে মাত্র ১২ ভাগ মানুষকে ভ্যাক্সিন দেয়া হয়েছে।
একারনে বাংলাদেশের মানুষ বিদেশে বেশি কাজের সুযোগ পাচ্ছে, ব্যবসার ক্ষেত্রে উর্দ্ধগতি লাভ করেছে, দেশের অর্থনীতির চাকা চাঙা হয়েছে।
তিনি বলেন, করোনা মহামারী মোকাবিলায় গোটা বিশ্ব যেখানে টালমাটাল অবস্থায় আছে সেখানে বাংলাদেশ রেমিট্যান্স অর্জনে উর্ধ্বগতিতে রয়েছে, দেশে খাদ্য সংকট হয়নি, মানুষ কোথাও না খেয়ে থাকেনি, দেশে পদ্মাসেতু বাস্তবায়ন সহ সকল মেগা প্রজেক্টের কাজ পুরোদমে চলছে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি না কমে আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে, চারটি নতুন মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে, ২০টি নতুন মেডিকেল কলেজ নির্মান করা হচ্ছে, দেশের সকল জেলা হাসপাতালে ১০ বেডের আইসিইউ বেড ও ১০ বেডের ডায়ালাইসিস বেড করার কাজ এবং বর্তমান সরকারের উন্নয়নকাজগুলি দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে।
এসবই সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের স্বাস্থ্য খাতের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই।
সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর এবিএম খুরশিদ আলম, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল) নাজমুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রফেসর আহমেদুল কবীর প্রমুখ।