ওয়েস্ট ইন্ডিজের চাঁদউইক ওয়ালটনের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের সাথে মেহেদি হাসান মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুন্যে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দ্বিতীয় কোয়ালিফাইয়ারে উঠলো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
আজ টুর্নামেন্টের এলিমিনেটর ম্যাচে চট্টগ্রাম ৭ রানে হারিয়েছে মুশফিকুর রহিমের খুলনা টাইগার্সকে। এ ম্যাচ হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিলো খুলনা।
আজ সন্ধ্যায় প্রথম কোয়ালিফাইয়ার ম্যাচে মুখোমুখি হবে ফরচুন বরিশাল ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ঐ ম্যাচে হেরে যাওয়া দলের সাথে দ্বিতীয় কোয়ালিফাইয়ারে খেলবে চট্টগ্রাম।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৮৯ রান করে চট্টগ্রাম। ওয়ালটন ৪৪ বলে অপরাজিত ৮৯ রান করেন। পঞ্চম উইকেটে মেহেদি হাসান মিরাজের সাথে ৫৮ বলে ১১৫ রানের জুটি গড়েন ওয়ালটন। মিরাজ ৩০ বলে ৩৬ রান করেন। এরপর বল হাতে ২ উইকেটও নেন মিরাজ। ১৯০ রানের জবাবে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৮২ রান করে খুলনা।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্বান্ত নেন খুলনার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।
ব্যাট হাতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই মিড উইকেট দিয়ে চার মারেন চট্টগ্রামের ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার কেনার লুইস। চতুর্থ বলে স্কয়ার লেগ দিয়ে হাকান ছক্কা। লুইসের এমন শুরুর মধ্যে ধাক্কা খায় চট্টগ্রাম। খুলনার পেসার খালেদ আহমেদের করা ওভারের শেষ বলে খালি হাতে প্যাভিলিয়নে ফিরেন লুইসের সতীর্থ জাকির হাসান।
তিন নম্বরে নামা অধিনায়ক আফিফ হোসেনকে দ্রুত বিদায় দেন খুলনার বাঁ-হাতি পেসার রুয়েল মিয়া। পুল শট খেলতে গিয়ে ব্যাট-বলের টাইমিং মেলাতে না পেরে, আকাশে ক্যাচ তুলে দেন আফিফ। উইকেটের পেছনে সেটি তালুবন্দি করতে ভুল করেননি প্রতিপক্ষ নেতা মুশফিক। ৩ বলে ৩ রান করেন আফিফ।
১৬ রানে ২ উইকেট পতনের পর চট্টগ্রামের রানের চাকা ঘুড়ান লুইস ও তার স্বদেশি ওয়ালটন। তবে মারমুখী মেজাজে ছিলেন না তারা। তাই ৭ ওভার শেষে চট্টগ্রামের রান ছিলো ২ উইকেটে ৪১।
শ্রীলংকার থিসারা পেরেরার করা অষ্টম ওভারের প্রথম দুই বলে ১০ রান আদায় করে নেন লুইস। তবে পরের ওভারের প্রথম বলে থামতে হয় লুইসকে। বাঁ-হাতি স্পিনার নাবিল সামাদের বলে লেগ বিফোর আউট হন লুইস। ৩২ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩৯ রান করেন তিনি। তৃতীয় উইকেটে ওয়ালটন-লুইস ৩৫ বলে ৩৮ রান যোগ করেন।
দলীয় ৫৪ রানে লুইসের বিদায়ের পর উইকেটে আসেন শামিম হোসেন। ১০ম ওভারের প্রথম দুই বলে ২টি চার মারেন শামিম। কিন্তু চতুর্থ বলে লেগ বিফোর হন তিনি। এডিআরএস নিয়েও নিজেকে বাঁচাতে পারেননি ৭ বলে ১০ রান করা শামিম।