You are here
Home > খেলাধুলা > বিপিএল ব্যাটারদের দৃঢ়তায় সিলেটের সংগ্রহ ১৮৫ রান

বিপিএল ব্যাটারদের দৃঢ়তায় সিলেটের সংগ্রহ ১৮৫ রান

চার ব্যাটার এনামুল হক বিজয়,  লেন্ডন সিমন্স, অধিনায়ক রবি বোপারা ও মোসাদ্দেক হোসেনের ব্যাটিং দৃঢ়কতায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে বড় সংগ্রহ পেয়েছে সিলেট সানরাইজার্স।

বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ২৯তম ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৮৫ রান করেছে সিলেট।

জিতলেই প্লে-অফ নিশ্চিত, এমন সমীকরণকে মাথায় নিয়ে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ সিলেট সানরাইজার্সের মুখোমুখি হয় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। তাই টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্বান্ত নেন চট্টগ্রামের অধিনায়ক আফিফ হোসেন।

প্লে-অফে খেলার আশা আগেই শেষ হওয়া সিলেট, প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই পেয়েছিলো। ২৯ বলে উদ্বোধনী জুটিতে ৪১ রান  তোলেন সিলেটের দুই ওপেনার দক্ষিণ আফ্রিকার কলিন ইনগ্রাম ও এনামুল হক বিজয়।

আগের দুই ম্যাচে ৯০ ও ৮৯ রান করা ইনগ্রাম, আজ প্রথম চার ওভারে ২টি ছক্কা ও ১টি চার মারেন। বিজয় ১টি করে চার-ছক্কা মারেন।

পঞ্চম ওভারের পঞ্চম বলে স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজের বলে বোল্ড হন বড় ইনিংসের আভাস দিয়ে ১৯ বলে ২৪ রান করা  ইনগ্রাম।

ইনগ্রামের বিদায়ের পর ক্রিজে এসেছিলেন মিজানুর রহমান। তিন বল খেলে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরির প্রথম শিকার হয়ে শুন্য হাতে বিদায় নেন মিজানুর।

৪৬ রানে ২ উইকেট পতনের পর সিলেটের হাল ধরেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের লেন্ডন সিমন্স ও বিজয়। রানের গতি বাড়িয়ে ১০ ওভার শেষে দলকে ৭৮ রান এনে দেন বিজয় ও সিমন্স। ১১তম ওভারে শরিফুল ইসলামের বলে ২টি ছক্কা মারেন সিমন্স। ১২তম ওভারেই ১শতে পৌঁছে যায় সিলেটের রান।

বিজয়-সিমন্সের জমে যাওয়া জুটিতে কপালে চিন্তার ভাঁজ চট্টগ্রামের। তবে ১৩তম ওভারের প্রথম বলেই চট্টগ্রামকে দারুন এক ব্রেক-থ্রু এনে দেন এবারের আসরের একমাত্র হ্যাট্টিকম্যান মৃত্যুঞ্জয়। জমে যাওয়া বিজয়-সিমন্সের জুটি ভাঙ্গেন তিনি।

ব্যাক স্কয়ারে বেনি হাওয়েলকে ক্যাচ দিয়ে থামেন মারমুখী মেজাজে থাকা সিমন্স। ২৭ বল খেলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪২ রান করেন তিনি।  তৃতীয় উইকেটে বিজয়-সিমন্স ৩৮ বলে ৫৫ রানের জুটি গড়েন।

সিমেন্সর শিকারের ওভারেই চট্টগ্রামকে আবারও উইকেট শিকারের আনন্দে মাতান মৃত্যুঞ্জয়। চতুর্থ বলে বিজয়ের উইকেট উপড়ে ফেলেন মৃত্যুঞ্জয়। বোল্ড হবার আগে ২৬ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কা হাঁকান বিজয়। ৩২ রান করেন তিনি।

চার বলের ব্যবধানে দুই সেট ব্যাটারকে হারানোর পর ভড়কে যায়নি সিলেট। উইকেটে নতুন দুই ব্যাটার অধিনায়ক ইংল্যান্ডের রবি বোপার ও মোসাদ্দেক হোসেন শেষ দিকে ব্যাট হাতে ঝড় তুলেন। মিরাজের ১৭তম ওভারে ১টি করে চার-ছক্কা মারেন মোসাদ্দেক। পরের ওভারের প্রথম দুই বলেই হাওয়েলকে দু’টি ছক্কা মারেন বোপারা। পরে আরও একটি চারে, ঐ ওভার থেকে ২১ রান পায় সিলেট। মৃত্যুঞ্জয়ের ১৯তম ওভারে ১টি করে চার-ছক্কায় ১৫ রান পেয়ে যায় সিলেট। একই  ওভারে ক্যাচ দিয়ে জীবনও পান বোপারা।

শরিফুলের করা শেষ ওভারের প্রথম দুই বলে ১টি করে চার-ছক্কা আদায় করেন বোপার। তবে তৃতীয় বলে বিদায় ঘটে তার। ২১ বলের ইনিংসে ৪টি ছক্কা ও ২টি চারে ৪৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন বোপারা।

শেষ ওভারের শুরুটা ভালো হলেও, শেষ ৩ বলে মাত্র ২ রান পায় সিলেট। এতে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৮৫ রান  পর্যন্ত যেতে পারে  সিলেট। শেষ ৪ ওভারে ৬১ রান পায় তারা। পঞ্চম উইকেট জুটিতে বোপারা-মোসাদ্দেক ৪১ বলে ৮০ রান যোগ করেন।

২২ বলে ৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন মোসাদ্দেক। তার ইনিংসে ৩টি চার ও ২টি ছক্কা ছিলো। চট্টগ্রামের মৃত্যুঞ্জয় ৩৬ রানে ৩ উইকেট নেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর :

সিলেট সানরাইজার্স : ১৮৫/৬, ২০ ওভার (বোপারা ৪৪, সিমন্স ৪৩, মৃত্যুঞ্জয় ৩/৩৬)।

Similar Articles

Leave a Reply

Top