অমর একুশে বইমেলা আপাতত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। তবে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি সাপেক্ষে পরবর্তীতে বইমেলার সময় বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি আজ সকালে রাজধানীর বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে বাংলা একাডেমি আয়োজিত অমর একুশে বইমেলা পরিচালনা কমিটির ৩য় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব সিদ্বান্তের কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, অমর একুশে বইমেলা আপাতত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। তবে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি সাপেক্ষে পরবর্তীতে বইমেলার সময় বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। বইমেলা প্রতিদিন দুপুর ২টা হতে শুরু হয়ে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে। তবে দর্শনার্থীরা রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন এবং রাত ৯ টায় মেলার আলোক বাতি বন্ধ করে দেয়া হবে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র ও শনিবারসহ অন্যান্য সরকারি ছুটির দিনে মেলা সকাল ১১টা এবং ২১ ফেব্রুুয়ারি মেলা সকাল ৮টা হতে শুরু হয়ে রাতে একই সময়ে শেষ হবে। কে এম খালিদ বলেন, এবার বইমেলায় দৃষ্টিনন্দন শিশু কর্নার স্থাপন করা হবে। তাছাড়া বইমেলায় যাতে কেউ পাইরেটেড বই বিক্রি করতে না পারে, সেজন্য এ সংক্রান্ত একটি টাস্কফোর্স সক্রিয় থাকবে। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনার কারণে প্রকাশকরা যাতে ক্ষতির মুখে না পড়েন, সেজন্য বাংলা একাডেমি ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ হতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, বাংলা একাডেমির সচিব (যুগ্ম-সচিব) এ. এইচ. এম. লোকমান, অমর একুশে বইমেলা ২০২২ পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও বাংলা একাডেমির পরিচালক ড. জালাল আহমেদ, বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ প্রমুখ।