পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন কৃষি, মৎস ও অ্যাকুয়াকালচারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে চুক্তি সম্পাদনের জন্য দক্ষিণ সুদানের প্রতি প্রস্তাব দিয়ে বলেছেন, এতে উভয় দেশ লাভবান হবে।
তিনি কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল ভিসা ছাড়ের চুক্তি সম্পাদন, বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও সুরক্ষা, উভয় দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মধ্যে বাণিজ্যিক সহযোগিতা এবং দ্বিপক্ষীয় বিষয়ে আলোচনার পরামর্শ দেন।
দক্ষিণ সুদানের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপমন্ত্রী দেং দাউ দেংয়ের নেতৃত্বে দেশটির একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সোমবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এক বৈঠকে তিনি এ আহবান জানান।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চুক্তির খসড়া তৈরি করে দক্ষিণ সুদানের বিবেচনার জন্য পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে দক্ষিণ সুদানের প্রতিনিধি প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী, সচিব, বাণিজ্য ও শিল্প এবং অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ ও দক্ষিণ সুদান সরকারের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
ড. মোমেন কৃষি, ওষুধ শিল্প, আইটি এবং আইসিটির মতো খাতে উভয় দেশের সহযোগিতার সম্পর্ক স্থাপনের পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, যৌথ সহযোগিতার মাধ্যমে দক্ষিণ সুদান বাংলাদেশ থেকে জাহাজ ও বার্জ তৈরি করে নিতে পারে।
দক্ষিণ সুদানে অবকাঠামো নির্মাণ ও পূনর্বাসন এলাকা তৈরি ছাড়াও সেখানে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহনের জন্য প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।
প্রতিনিধিদল দুই দেশের মধ্যে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, আইটি এবং আইসিটি, সামাজিক উন্নয়ন, কৃষি, জলবায়ু পরিবর্তন এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বিশেষ সহযোগিতার পরিধির ওপর বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করেন।
উল্লেখ্য যে, জাতিসংঘ দক্ষিণ সুদানে ইউএনএমআইএস-এ শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছে।
দক্ষিণ সুদানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ সুদানে শান্তিরক্ষা মিশনে এলাকায় শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে মূল্যবান ভূমিকা পালন করছে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পিস ট্রেনিং ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশে সুদানি সামরিক কর্মকর্তাদের পাঠানোর জন্য দক্ষিণ সুদান সরকারের প্রতি প্রস্তাব দিয়েছেন।
উভয় পক্ষ সহযোগিতার ক্ষেত্র হিসেবে ড্রেজিং ও নদী ব্যবস্থাপনা চিহ্নিত করেছে।
ড. মোমেন রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রর্ত্যাবাসনেরর মাধ্যমে সমস্যার সমাধানে দক্ষিণ সুদানের পক্ষ থেকে সমর্থন জোরদারের অনুরোধ জানান।
সফররত প্রতিনিধিদলটি বিকালে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে তার অফিসে সাক্ষাৎ করেন। প্রতিনিধিদলের সম্মানে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় নৈশভোজের আয়োজন করা হয়।
প্রতিনিধিদলটির বাংলাদেশের কৃষি, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে। তারা কৃষি প্রকল্প, নার্সিং ইনস্টিটিউ এবং কিছু শিল্প প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করবেন।