সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসানের জানাজা সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে তার সহকর্মী বিচারপতি, আইনজীবী, স্বজন শুভাকাক্সক্ষীদের উপস্থিতিতে আজ বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে জানাজা সম্পন্ন হয়।
সুপ্রিমকোর্ট মুখপত্র মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বাসস’কে জানান, বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসানকে বরিশাল মুসলিম কবরস্থানে উনার বাবার কবরের পাশে দাফন করা হবে। সকাল সোয়া ৬ টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। করোনাভাইরাস জনিত সংক্রমণে সেখানে ভর্তি ছিলেন বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান।
তার জানাজায় প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, আপিল বিভাগের বিচারপতিগন, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিগন, এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সিনিয়র আইনজীবীবৃন্দ, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ ও বিপুল সংখ্যক আইনজীবী অংশগ্রহণ করেন।
জানাজার আগে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার মোঃ রুহুল কুদ্দুস (কাজল) ও মরহুম বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসানের একমাত্র ছেলে তাইম হাসান প্রান্ত দোয়া চেয়ে স্মৃতিচারণমূলক বক্তৃতা রাখেন।
জানাজার পরে প্রধান বিচারপতি, এটর্নি জেনারেল কার্যালয়, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতিসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসানের মরদেহে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়।
বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত ৮ জানুয়ারি তাকেসহ হাইকোর্টের চার বিচারপতিকে আপিল বিভাগে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। অন্য তিনজন হলেন- বিচারপতি বোরহান উদ্দিন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ। নিয়োগের পরদিন তিনজন শপথ নিলেও অসুস্থতার জন্য শপথ নিতে পারেননি বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান। অবশেষে মৃত্যুর কাছে তাকে হার মানতে হলো।
হাইকোর্ট বিভাগে বিচারক হিসেবে জনগুরুত্বপূর্ণ বহু মামলা তিনি নিষ্পত্তি করেন। আইনজীবীদের কাছে তিনি ভীষণ প্রিয় ছিলেন। তার মৃত্যুতে দেশের সর্বোচ্চ আদালত অঙ্গনে শোকের ছায়া বিরাজ করছে।