করোনা টিকার বুস্টার ডোজ দেয়ার ন্যুনতম বয়স কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এখন থেকে ৪০ বছর ও তদুর্ধ্ব বয়সীদের বুস্টার দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
রাজধানীর মহাখালীতে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) প্রাঙ্গণে আজ এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনার বুস্টার ডোজের জন্য আগে বয়সসীমা ছিল ৫০ বছর। আজ থেকে তা কমিয়ে ৪০ বছর করা হলো। ১২ বছর ও তার বেশি বয়সী শিশুদেরও টিকা দেয়া হবে। যারা স্কুলে যায় না, তারা জন্মসনদ নিয়ে এলে টিকা পাবে, না নিয়ে এলেও পাবে।’
তিনি বলেন, ‘বুস্টার ডোজের বয়সসীমা আমরা ৪০ এ নামিয়ে এনেছি। অনেকেই বুস্টার ডোজ নিচ্ছে না। তাই এই বয়সসীমা কমিয়ে আনা হয়েছে।’
বিগত ১৯ ডিসেম্বর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তাকে প্রথম বুস্টার ডোজ দিয়ে করোনার তৃতীয় এই ডোজ দেয়া শুরু হয়। শুরুর দিকে ষাটোর্ধ্ব নাগরিক ও সম্মুখসারির কর্মীদের বুস্টার ডোজ দেয়া হয়। পরে চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে এসে বুস্টার ডোজের বয়সসীমা কমিয়ে ৫০ করা হয়, এবার আরেক দফায় তা কমিয়ে ৪০ বছর করা হলো।
দ্বিতীয় ডোজ পাওয়ার ছয় মাস পরই শুধু বুস্টার ডোজ নেয়া যাচ্ছে। ইতোমধ্যে দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন, এমন ব্যক্তিরাই বুস্টার ডোজ হিসেবে তৃতীয় ডোজ পাচ্ছেন। এ জন্য নতুন করে নিবন্ধনের দরকার হচ্ছে না।