সাত বছর আগে মিশন শেষ করার পর স্পেস এক্স রকেটের বিষ্ফোরিত এবং পরিত্যক্ত একটি অংশ মার্চ মাসে চাঁদে বিধ্বস্ত হবে। নাসা বৃহস্পতিবার বলেছে, তারা এই স্পেস জাঙ্ক চাঁদে বিধ্বস্ত হওয়ার সময় সৃষ্ট ক্রেটারটি পর্যবেক্ষণ করবে এবং এই ঘটনাকে ‘একটি আকর্ষণীয় গবেষণার সুযোগ’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
২০১৫ সালে ডিপ স্পেস ক্লাইমেট অবজারভেটরি (ডিএসসিওভিআর) নামে নাসার একটি উপগ্রহকে কক্ষপথে স্থাপনের জন্য রকেটটি ব্যবহার করা হয়।
এর পর থেকে রকেটের দ্বিতীয় পর্যায় বা বুস্টারটি গাণিতিকভাবে একটি বিশৃংঙ্খল কক্ষপথে ভেসে বেড়ায়। বুস্টার রকেটের টুকরোগুলো মহাকাশে লক্ষ্যহীন ভেসে বেড়ানোই এর পরিণতি। তবে কখনো কখনো এগুলো পৃথিবীর দিকে ছুটে এসে বিধ্বস্ত হয়। কখনো পৃথিবীর বায়ুমন্ডল থেকে ছিটকে বেড়িয়ে যায়। এবার ৪ টন ভরের স্পেস এক্স টুকরাটি চাঁদে পতিত হচ্ছে।
জ্যোতির্বিজ্ঞানী বিল গ্রে গাণিতিক হিসাব করে এই স্পেস জাঙ্কটির নতুন করে চাঁদে পতিত এবং ধ্বংস হওয়ার সময় নির্ধারণ করেন।
নাসার মুখপাত্র এএফপি’কে বলেন, রকেটটি চাঁদের কাছাকাছি চলে যাওয়ার এক সপ্তাহ পরে বিল গ্রে আবার এটি পর্যবেক্ষণ করেন এবং হিসাব করে এটি চাঁদে পতিত হওয়ার সময় ও গতি নির্ধারণ করেন। গ্রে বলেন, এটি আগামী ৪ মার্চ চাঁদের অন্ধকার দিকে ঘন্টায় ৫ হাজার ৫০০ মাইল (৯ হাজার কিলোমিটার) বেগে পতিত ও বিধ্বস্ত হবে।
গ্রে এই বুস্টারটি পর্যবেক্ষণে অ্যামেচার জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের যুক্ত থাকার আহবান জানিয়েছিলেন এবং বুস্টারটির পরিণতি সম্পর্কে নিশ্চিত করেন। গ্রে গত ১৫ বছর ধরে মহাকাশে ভ্রাম্যমান বস্তু ট্র্যাকিং করে আসছেন।