স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ণাঢ্য ও যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে উদযাপনের নিমিত্তে মন্ত্রিসভা কমিটির উদ্যোগে শুরু হয়েছে সুর্বণ জয়ন্তী ওয়েবসাইট ও সুবর্ণ জয়ন্তী অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতা।
আজ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের বিসিসি অডিটোরিয়ামে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে উদযাপনের জন্য মন্ত্রিসভা কমিটির উদ্যোগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আয়োজনে এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় সুবর্ণ জয়ন্তী ওয়েবসাইট ও সুবর্ণ জয়ন্তী অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতার উদ্ধোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ণাঢ্য ও যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে উদযাপনের নিমিত্তে মন্ত্রিসভা কমিটির সভাপতি আ ক ম মোজাম্মেল হক।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে বিশ্ব সভায় মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করার প্রত্যয়ে স্বাধীনতার ৫০ তম বছর উদযাপন উপলক্ষে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মাধ্যমে গ্রহণ করা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ।
২০২০ সালের ১৪ ডিসেম্বর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ণাঢ্য ও যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে উদযাপনের নিমিত্তে মন্ত্রিসভা কমিটি গঠন করে।
কমিটিতে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়কে সাচিবিক এবং মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে আহবায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যোগাযোগ ও প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ণাঢ্য ও যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে উদযাপনের নিমিত্তে মন্ত্রিসভা কমিটির সদস্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং কম্পিউটার কাউন্সিলের কার্যনির্বাহী পরিচালক ( অতিরিক্ত সচিব) আব্দুল মান্নান।
এই কমিটির সুবর্ণ জয়ন্তী পালন উপলক্ষে দেশব্যাপী গ্রহণ করে নানা উদ্যোগ। ‘সুবর্ণ জয়ন্তী অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতা’ ও সুবর্ণ জয়ন্তী ওয়েবসাইট সেই উদ্যোগেরই অংশ।
প্রতিযোগিতার সময় সন্ধ্যা ৭ টা থেকে রাত ৮ টার মধ্যে যে কোন ২৬ মিনিটের মধ্যে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা যাবে।
প্রতিযোগিতার তারিখ নির্ধারন করা হয়েছে ‘ক’ গ্রুপ ১ মার্চ ‘খ’ গ্রুপ ২ মার্চ ও ‘গ’ গ্রুপ ৩ মার্চ।
কুইজ প্রতিযোগিতা সবার জন্য উন্মুক্ত ( গ্রুপ ক: ৮-১২ বছর, গ্রুপ ‘খ’ :১৩-১৮ বছর , গ্
গ্রুপ ‘গ’ ১৯- তদুর্ধ)।
ভুল বা মিথ্যা তথ্য দিয়ে অংশগ্রহণ করলে প্রতিযোগিতা থেকে বাতিল বলে গন্য হবে। একজন প্রতিযোগী একবারই অংশগ্রহণ করতে পারবেন। সকল প্রশ্নের মান সমান (১পয়েন্ট)। তবে প্রতিটি
ভুল উত্তরের জন্য এক চতুর্থাংশ (০.২৫) পয়েন্ট কাটা যাবে। সকল প্রশ্নের উত্তরের জন্য চারটি বিকল্প থেকে একটি সঠিক উত্তর বাছাই (এমসিকিউ) করতে হবে।
কম সময়ে সর্বোচ্চ সংখ্যক উত্তর দাতা থেকে বিজয়ী নির্বাচন করা হবে। চূড়ান্ত বিজয়ীদের ক্ষেত্রে বয়স যাচাই সাপেক্ষে পুরষ্কর
প্রদান করা হবে। প্রতিযোগিতা বাসতবায়নের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত ব্যক্তি বা পরিবারবর্গ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন না। ২৩ সদস্য বিশিষ্ট ( ৯ জন মন্ত্রী পরিষদ সদস্য, ১৪ জন সহায়তাকারী কর্মকর্তা)। এই কমিটির সুবর্ণ জয়ন্তী পালন উপলক্ষে দেশব্যাপী গ্রহণ করে নানা উদ্যোগ।
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন,বাংলাদেশের ভাল সব অর্জনকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে। যাতে বিশ্ব দরবারে তা সমাদৃত হতে পারে।
তিনি বলেন, এ ধরেনর কুইজ প্রতিযোগিতা শিশুসহ সব বয়সী মানুষের মাঝে ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করার পাশাপাশি মেধার বিকাশ ঘটাবে।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, এ ধরনের উদ্যোগ তারুণ্য দীপ্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার সক্ষমতা অর্জন করবে এই প্রজন্ম।
তিনি আরো বলেন, সুবর্ণ জয়ন্তী অনলাইন কুইজের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আরো সহজভাবে ও দ্রুত তুলে ধরতেই এই আয়োজন করা হয়েছে। এর আগে আইসিটি বিভাগ থেকে অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। যে গুলো তরুণ প্রজন্মের কাছে ব্যাপক সাড়া মিলেছে। সেই ধারাবাহিকতায় এবং মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস, গৌরব, ঐতিহ্য ও বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শ ও দর্শন সম্পর্কে তরুণ প্রজন্মের মাঝে জানবার সুযোগ দিতে এই আয়োজন।
এই কুইজ প্রতিযোগিতার পুরষ্কার হিসেব প্রায় ১৫০টি পুরষ্কর রযেছে বিজয়ীদের জন্য। এর মধ্যে উন্নতমানের ল্যাপটপ কোর আই-৭,১১, সহ ট্যাব/ প্যাড, স্মার্টফোন, স্মার্টঘড়ি ও ব্লু-টুথ স্পিকার রয়েছে।