সিলেট সানরাইজার্সের বাঁ-হাতি স্পিনার নাজমুল ইসলামের স্পিন বিষে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের অষ্টম আসরের সপ্তম ম্যাচে ১৮ দশমিক ৪ ওভারে ১০০ রানে অলআউট হয়েছে মাহমুদুল্লাহ-তামিমের মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা। নাজমুল ১৮ রানে ৪ উইকেট নেন।
আজ মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্বান্ত নেন সিলেট সানরাইজার্সের অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন।
৯ রানের মধ্যে ঢাকার দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও আফগানিস্তানের মোহাম্মদ শাহজাদের বিদায় নিশ্চিত করেন সিলেটের দুই স্পিনার সোহাগ গাজী ও মোসাদ্দেক হোসেন। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই শাহজাদকে ৫ রানে থামান গাজী। আর তৃতীয় ওভারে ৩ রান করা তামিমকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেরেন মোসাদ্দেক।
ষষ্ঠ ওভারে আবারও উইকেট শিকারের আনন্দে মাতে সিলেট। চার নম্বরে নামা জহিরুল ৪ রান করে গাজীর দ্বিতীয় শিকার হন। এমন অবস্থায় ১৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ঢাকা।
সেখান থেকে দলকে খেলায় ফেরানোর চেষ্টা করেন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। কাউন্টার অ্যাটাকে ৩টি চারও মারেন মাহমুদুল্লাহ। চতুর্থ উইকেটে মোহাম্মদ নাইমের সাথে বড় জুটির গড়ার পথে ছিলেন মাহমুদুল্লাহ। কিন্তু ১৩তম ওভারে ঢাকাকে জোড়া আঘাত হানেন বাঁ-হাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম। প্রথম বলে নাইম ও ও পঞ্চম ডেলিভারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হার্ড-হিটার আন্দ্রে রাসেলকে আউট করেন নাজমুল। নাইম ৩০ বলে ১৫ ও রাসেল শুন্য রানে ফিরেন। মাহমুদুল্লাহ-নাইম ৪০ রানের জুটি গড়েন।
নিজের দ্বিতীয় ওভারে দুই উইকেট নিয়ে ক্ষান্ত হননি নাজমুল। তৃতীয় ওভারেও ঢাকার অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহকে শিকার করেন তিনি। ২৬ বল খেলে ৩টি চারে ৩৩ রান করেন মাহমুদুল্লাহ। ৬৬ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারিয়ে কোনঠাসা হয়ে পড়ে ঢাকা। এতে দলীয় স্কোর শতরানে যাওয়াটাই মুশকিল হয়ে পড়ে।
৪০২ দিন পর মাঠের লড়াইয়ে ফেরা মাশরাফি বিন মর্তুজাকে নিয়ে ব্যাট হাতে মারমুখী হয়ে উঠেন শুভাগত হোম। ২টি চার ও ১টি ছক্কাও হাকান শুভাগত।
নিজের শেষ ওভারে শুভাগতকেও তুলে নেন নাজমুল। ১৬ বলে ২১ রান করেন শুভাগত। ইনিংসে ৪ ওভারে ১৮ রানে ৪ উইকেট নেন নাজমুল। টি-টোয়েন্টিতে এটিই তার সেরা বোলিং ফিগার।
ইনজুরির কারনে এবারের আসরের প্রথম তিন ম্যাচ খেলতে না পারা মাশরাফিকে ২ রানে থামান সিলেটের পেসার তাসকিন আহমেদ। কিন্তু শেষ দিকে ৬ বলে ১টি করে চার-ছক্কায় ঢাকার স্কোর ১শতে নিয়ে যান পেসার রুবেল হোসেন। রুবেলকে শিকার করে ঢাকাকে কাটায় কাটায় ১শতেই গুটিয়ে দেন তাসকিন। নাজমুল ছাড়াও, সিলেটের পেসার তাসকিন ৩টি ও গাজী ২টি উইকেট নিয়েছেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা : ১০০/১০, ১৮.৪ ওভার (মাহমুদুল্লাহ ৩৩, শুভাগত ২১, নাজমুল ৪/১৮)।