বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফলে তৃতীয় বারের মতো নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের(নাসিক) মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ডাঃ সেলিনা হায়াৎ আইভী।
সেলিনা হায়াৎ আইভী নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ১ লাখ ৫৯ হাজার ৩৯৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী, বিএনপি’র চেয়ারপার্সনের সাবেক উপদেষ্টা তৈমূর আলম খন্দকার হাতি প্রতীকে পেয়েছেন ৯২ হাজার ৫৬২ ভোট।
নারায়নগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সিটি নির্বাচনের ফলাফলের জন্য তৈরি করা অস্থায়ী মঞ্চে রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার রোববার রাতে এই ফলাফল ঘোষণা করেন।
কমিশন ঘোষিত ফলাফলে খেলাফত মজলিসের এবিএম সিরাজুল মামুন দেয়ালঘড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ১০ হাজার ৭২৪ ভোট, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মো. মাছুম বিল্লাহ হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ২৩ হাজার ৯৮৭ ভোট, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসীম উদ্দিন বটগাছ প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৩০৯ ভোট, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মো. রাশেদ ফেরদৌস হাতঘড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৯২৭ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৩০৫ ভোট।
বিজয়ী হওয়ার পরে প্রতিক্রিয়ায় ডাঃ সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, ‘এই জয় জনগনের, এই জয় শেখ হাসিনার’। আমৃত্যু নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য কাজ করবো।
শহরের নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই শহরের মানুষের সঙ্গে সাধারণভাবে মিশেছি। কখনো মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেইনি। এ কারণেই আমার নেত্রী আমার হাতে নৌকা তুলে দিয়েছিলেন। নেত্রীর এই বিশ্বাসের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে জনগণ আমাকে জয়ী করেছে।
তিনি বলেন, আমি মনে করি ইভিএম ভোটিং স্লো না হলে ভোট কাস্টিং বেশি হতো এবং লক্ষাধিক বেশি ভোটে জয়ী হতাম।
এ সময় তিনি বিগত বছরের মতো তার নির্বাচনী প্রতিপক্ষ তৈমূরের বাসায় মিষ্টি নিয়ে যাবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যাবো। তৈমূর কাকা চাইলেও যাবো, না চাইলেও যাবো এবং তার যৌক্তিক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলো দু’জনে মিলে বসে বাস্তবায়নের চেষ্টা করবো।