অর্থ আত্মসাতের মামলায় গ্রেফতার সাত বিদেশিসহ নয়জনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শেখ সাদী আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দক্ষিণখান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাফিজুর রহমান আসামিদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
আদালত উভয় পক্ষের শুনানী শেষে দুই বাংলাদেশিকে দুই দিন এবং সাত বিদেশিকে এক দিন করে রিমান্ড মন্জুর করেন।
আসামি হলেন- নাহিদুল ইসলাম, সোনিয়া আক্তারকে দুইদিন এরা দুইজন স্বামী-স্ত্রী ও বাংলাদেশি, এবং ওডেজে ওবিন্না রিবেন, নটোম্বিকনা, ইফুইন্নয়া ভিভান, সানডে ইজিম, চিনেডু নিয়াজি, কোলিমন্স তালিকে, চিঢিম্মা ইলোফোর এদের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এদের মধ্যে ছয়জন নাইজেরিয়ান, একজন দক্ষিণ আফ্রিকান ।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, তারা প্রতারক চক্রের সদস্য। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পরস্পর যোগসাজসে অবৈধভাবে ডিজিটাল প্রযুক্তি ও মোবাইল ফোন ব্যবহার করে, অপরের নাম ও ঠিকানা, ছবি ধারণ পূর্বক ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ এর মাধ্যমে পরিচয় গোপন করে সারাদেশ থেকে সহজ-সরল জনসাধারণের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা প্রতারণাপূর্বক আত্মসাৎ করে আসছিল। তারা আন্তর্জাতিক প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। আসামিদের নাম-ঠিকানা যাচাই-বাছাই করা সম্ভব হয়নি। তারা জামিনে মুক্তি পেলে চিরপলাতক হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তাই তাদের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করছি।
আসামিপক্ষে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি গাজী শাহ আলম, তাহমিনা আক্তার হাশেমী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।
শুনানিতে তারা বলেন, ‘দুই দিন আগে আসামিদের গ্রেফতার করে র্যাব। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের আদালতে হাজির করার আইন থাকলেও তা মানা হয়নি। তাদের নির্যাতন করা হয়েছে। এ অবস্থায় রিমান্ডে দিলে তাদের আরও নির্যাতন করা হবে। এছাড়া র্যাব-পুলিশ দুইদিন জিজ্ঞাসাবাদের সময় পেয়েছে। রিমান্ড বাতিল চেয়ে তাদের জামিন আবেদন করেন ।
সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে গত ১১ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১১টা থেকে ১২ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৬টা পর্যন্ত র্যাব-৪ এর একটি দল র্যাব-৮ এর সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে রাজধানীর পল্লবী থানা, রূপনগর থানা ও দক্ষিণখান থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় আটটি পাসপোর্ট, ৩১টি মোবাইল ফোন, তিনটি ল্যাপটপ, একটি চেক বই, প্রায় লক্ষাধিক টাকা।