করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে ১২ বছরের ঊর্ধ্বে যে কোনো শিক্ষার্থী টিকাকেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিতে পারবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি জানান, এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করার পরিকল্পনা নেই। যেহেতু শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হচ্ছে তাই এক্ষেত্রে কোন সমস্যা হবে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেভাবে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রয়েছে, সে ভাবেই চলবে।
আজ করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা সংক্রান্ত বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় কারিগরি কমিটির সাথে আয়োজিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, চলতি মাসেই দেশের সব শিক্ষার্থীকে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। শিগগিরই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়নি।
শিক্ষামন্ত্রী আরো জানান, চলতি মাসের ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের প্রথম ডোজের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। যারা ১২ জানুয়ারির মধ্যে এক ডোজ টিকা নিয়েছে, তারা শ্রেণিকক্ষে পাঠ গ্রহণের সুযোগ পাবে। এছাড়া ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সের শিক্ষার্থীরা টিকা গ্রহণের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী আইডি কার্ডের সাহায্যে কেন্দ্রে গিয়ে করোনার টিকা গ্রহণ করতে পারবে। এছাড়া আইডি কার্ড না থাকলে রেজিষ্ট্রেশন কার্ড দেখিয়ে টিকা নিতে পারবে।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী ১ কোটি ১৬ লাখ ২৩ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। এদের মধ্যে ৭৫ লাখ ৫৪ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী এখন পর্যন্ত করোনার টিকার আওতায় আসেনি।
তিনি বলেন, প্রায় ৪৪ লাখ শিক্ষার্থী প্রথম ডোজের টিকা পেয়েছে। ৪ লাখ ১৯ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী পেয়েছে দুই ডোজের টিকা। প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের টিকা পেয়েছে ৪৮ লাখ ১৯ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। আর ৭৫ লাখ ৫৪ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী এখন পর্যন্ত করোনার কোন টিকা পায়নি।
বর্তমানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা টিকা থেকে বেশি পিছিয়ে রয়েছে। সে কারণে আগামীকাল মঙ্গলবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় বৈঠক হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের করোনা ভাইরাস টিকা গ্রহণের প্রতি জোর দেয়া হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রেখেই তা করা হবে। টিকা গ্রহণকারীরা সশরীরে ক্লাসে উপস্থিত হবে। আর যারা এখনো টিকা নিতে পারেনি এবং অসুস্থ থাকবে তারা বাসায় বসে অনলাইনে ক্লাসে যুক্ত হবে পারবে।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে নিয়মিত মনিটরিং করা হবে। এছাড়া সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে প্রতি সপ্তাহে বৈঠক করা হবে।
শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, অল্প সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের করোনা ভাইরাস টিকার আওতায় আনতে এ কার্যক্রম সহজীকারণ করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।