নরমাল ডেলিভারিতে প্রসূতির সন্তান প্রসবে উদ্বুদ্ধ করতে ২৫০ শয্যা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্সদের শুভেচ্ছা উপহার প্রদান করা হয়েছে।
ওই হাসপাতালে গত তিন মাসে ৩২২ জন প্রসূতি নারী স্বাভাবিকভাবে (নরমাল ডেলিভারি) সন্তান প্রসব করেন। এর মধ্যে গত ডিসেম্বর মাসে ১০৯ জন, নভেম্বর মাসে ১০৫ এবং অক্টোবর মাসে ১০৮ জন প্রসূতি স্বাভাবিকভাবে তাদের সন্তান প্রসব করেন। নরমাল ডেলিভারিতে প্রসূতিদের সন্তান প্রসব করায় ১১ জন সিনিয়র নার্সকে হাসপাতালের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা উপহার প্রদান করা হয়েছে।
উপহার পাওয়া ১১জন সিনিয়র স্টাফ নার্স হলেন- আয়েশা আক্তার, নেহেরা আক্তার, মর্জিনা খাতুন, মর্জিনা বেগম, স্মৃতি রাণী রায়, ববিতা রাণী পাল, কোহিনুর বেগম, শিরিন আক্তার, সবিতা রাণী দাস, শাহনাজ বেগম ও সোনিয়া বেগম। তাদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন- সিনিয়র স্টাফ নার্স আয়েশা আক্তার, দ্বিতীয় হয়েছেন নেহেরা আক্তার ও মর্জিনা খাতুন ও তৃতীয় হয়েছেন মর্জিনা বেগম ও স্মৃতি রাণী রায়।
২৫০ শয্যা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. ওয়াহীদুজ্জামান জানান- গাইনি ও স্ত্রী রোগ বিষয়ক সিনিয়র চিকিৎসক (সিনিয়র কনসালটেন্ট) ফৌজিয়া আখতারের নেতৃত্বে ছয়জন নারী চিকিৎসক দলের তত্ত্বাবধানে হাসপাতালে কর্মরত ১১ জন সিনিয়র স্টাফ নার্স প্রসূতি নারীদের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় (নরমাল ডেলিভারি) সন্তান প্রসবের কাজটি করেন।
আয়েশা আক্তার বলেন, যে কোন কাজের স্বীকৃতি পেলে কাজের উৎসাহ বাড়ে। তিনি বলেন, নভেম্বর ও অক্টোবর মাসেও আমি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় সন্তান প্রসব করিয়ে প্রথম হয়েছি। শুভেচ্ছা উপহার দেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
২৫০ শয্যা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের হাসপাতালের স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ গাইনি ও স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ (সিনিয়র কনসালটেন্ট) ফৌজিয়া আখতার বলেন, স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় সন্তান প্রসবে সেবিকাদের উদ্বুদ্ধ করতেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদেরকে শুভেচ্ছা উপহার করে অনুপ্রাণিত করেন। আমরা চাই প্রতিটি প্রসূতি তাদের সন্তান প্রসবের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চলে আসুক। তিনি বলেন, বাড়িতে ডেলিভারি করা একেবারেই ঠিক নয়। এতে মা ও শিশুর যে কোন সমস্যা হতে পারে, এমনি মৃত্যুও হতে পারে। আমাদের হাসপাতালে ২৪ ঘন্টা নরমাল ডেলিভারির ব্যবস্থা আছে।