অর্থ-আত্মসাতের মামলায় ওয়ান ব্যাংকের গুলশান-১ এর প্রিন্সিপাল অফিসার এমরান হোসেনের আগাম জামিন আবেদন সরাসরি খারিজ করে, তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এই আদেশ দেন। আদালতের আদেশে এই আসামিকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।
এছাড়া পৃথক আবেদনে এ মামলার দুই নারী আসামিকে তিন সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
তারা হলেন- রাকিবা জাহান ও পেশোয়ারা বেগম।
আসামি এমরান ও পেশোয়ারার পক্ষে ছিলেন- আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস। রাকিবা জাহানের পক্ষে ছিলেন- আইনজীবী মো. কামরুল ইসলাম। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন- আইনজীবী আশরাফ উদ্দিন ভূঁইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন- ডেপুটি এটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
ডেপুটি এটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক আদালতের আদেশের বিষয়টি বাসস’কে জানান।
১৫ ডিসেম্বর দুদক মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ওয়ান ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ব্যাংকটির এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ফয়সাল আদিলসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে চারটি ইন্সুরেন্স কোম্পানির বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ও আসামিদের ব্যাংক হিসাবে অবৈধ প্রক্রিয়ায় ১১ কোটি ৪০ লাখ টাকা স্থানান্তরের মাধ্যমে উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়েছে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ব্যাংকের গুলশান-১ শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার, ফার্স্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট শফিউল আলম, সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট বিমলেন্দু চৌধুরী, অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড রিলেশনশিপ ম্যানেজার মুনতাসির রহমান সিদ্দিকী, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার আবু কালাম মোহাম্মদ সাখাওয়াৎ হোসেন ওরফে কে এম সাখাওয়াত হোসেন ও জুনিয়র অফিসার মো. শামিম। এছাড়া ব্যাংকের ওই শাখার সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিরা হলেন- আজিজুর রহমান, রাকিবা জাহান, তানভীর হোসেন, পেশোয়ারা বেগম ও সুবু তারা হাওলাদার।