বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) গত ডিসেম্বরে দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে ১২০ কোটি ৮৩ লাখ ৩৮ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন ধরনের চোরাচালান পণ্য, অস্ত্র ও গোলাবারুদ এবং মাদকদ্রব্য জব্দ করছে।
আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিজিবি একথা জানিয়েছে।
জব্দকৃত মাদকের মধ্যে রয়েছে- ১৬ লাখ ১ হাজার ৬৭৩ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৩ কেজি ১১০ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস, ১৯ হাজার ৫৬২ বোতল ফেনসিডিল, ১৭ হাজার ৮৬১ বোতল বিদেশী মদ, ১ হাজার ৭০৪ ক্যান বিয়ার, ১ হাজার ৬৯৩ কেজি গাঁজা, ৯ কেজি ২৯৮ গ্রাম হেরোইন, ১৫ হাজার ৭৫৬টি ইনজেকশন, ৪ হাজার ৭৬৫টি ইস্কাফ সিরাপ, ৩ হাজার ১১১ বোতল এমকেডিল বা কফিডিল, ৮ হাজার ৩৯৮টি এ্যানেগ্রা অথবা সেনেগ্রা ট্যাবলেট এবং ৯৫ হাজার ১৫২টি অন্যান্য ট্যাবলেট।
উদ্ধারকৃত চোরাচালান পণ্যের মধ্যে রয়েছে- ১৫ কেজি ২৬৭ গ্রাম স্বর্ণ, ৬২ কেজি ৬৮০ গ্রাম রূপা, ১ লাখ ৫৬ হাজার ৩২১টি কসমেটিক্স, ১ হাজার ৭৫৫টি ইমিটেশন গহনা, ১০ হাজার ৪৩৮টি শাড়ী, চাদর ও কম্বলসহ ৫ হাজার ৩৮টি থ্রিপিস বা শার্টপিস, ১ হাজার ৫১ মিটার থান কাপড়, ১ হাজার ৯৫০ ঘনফুট কাঠ, ১০ হাজার ৯৪৯ কেজি চা পাতা, ১৩০ কেজি গ্যামাক্সিন পাউডার, ১৪ হাজার ৯শ’ কেজি কয়লা, ৪টি কষ্টি পাথরের মূর্তি, ৯টি ট্রাক বা কাভার্ডভ্যান, ৪টি প্রাইভেটকার বা মাইক্রোবাস, ১৩টি পিকআপ, ৪৪টি সিএনজি চালিত অটো রিকসা অথবা ইজিবাইক এবং ৬৬টি মোটর সাইকেল।
উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে ৫টি পিস্তল, ১টি এসএমজি, ৫টি বিভিন্ন ধরনের গান, ৮টি ম্যাগাজিন, ১৮ রাউন্ড গুলি এবং ৩৫টি খালি খোসা রয়েছে।
এছাড়াও সীমান্তে বিজিবি’র অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ২৯০ জন চোরাচালানীকে এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের অপরাধে ২২০ জন বাংলাদেশী ও ১০ জন ভারতীয় নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।