ঢাকা থেকে বরগুনাগামী সুগন্ধা নদীতে ‘এমভি অভিযান-১০’ নামের একটি যাত্রীবাহী লঞ্চে আগুন লেগে ৩৯ জনের প্রাণহানি এবং আরো ৭০ জনেরও বেশি যাত্রী দগ্ধ হয়েছে। ঢাকা থেকে বরগুনা যাওয়ার পথে দপদপিয়া এলাকায় পৌঁছলে গতরাত ৩টার দিকে লঞ্চটিতে আগুন ধরে যায়।
জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী ও ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক মো. কামাল উদ্দিন ভুইয়া বাসস’কে জানান, এ পর্যন্ত ঘটনাস্থল থেকে ৩৯টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা লঞ্চ কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে জানান, ‘এমভি অভিযান-১০’ নামে যাত্রীবাহী লঞ্চটি ঢাকা থেকে তিন শতাধিক যাত্রী নিয়ে বরগুনা যাচ্ছিল। রাতে ইঞ্জিন কক্ষ থেকে আগুন লাগে। এ সময় কেবিনের যাত্রীরা ঘুমিয়ে ছিলেন। লঞ্চটি সদর উপজেলার দিয়াকুল এলাকায় গিয়ে নদীর তীরে নোঙর করে। খবর পেয়ে ঝালকাঠির ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
দুপুর পৌনে ১টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৩৯ জনের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। আগুনে ৭০ জনেরও বেশি যাত্রী দগ্ধ হয়। দগ্ধ যাত্রীদের উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল ও বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত হয়ে উদ্ধার কাজে সহযোগিতা করছেন।
এদিকে লঞ্চে আগুনের খবর শুনে বরগুনা ও এর আশপাশের এলাকা থেকে স্বজনরা ঝালকাঠি লঞ্চঘাট এলাকায় এসেছেন। তাদের আহাজারিতে এখানকার পরিবেশ ভারি হয়ে গেছে।
ভোর ৫টার দিকে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশংকা করছেন উদ্ধারকাজে নিয়োজিতরা।
অগ্নিকান্ড পরবর্তী পরিস্থিতি দেখতে ঢাকা থেকে ঝালকাঠি যাচ্ছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
এ ছাড়া লঞ্চে আগুনের ঘটনায় ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।