সৈয়দ মহিদুল ইসলাম স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের মঞ্চনাটকে প্রথম সারির একজন। গাইড হাউস মিলনায়তন, মহিলা সমিতির মঞ্চে সৈয়দ মহিদুল ইসলামের অভিনয় দেখেছে বহু মানুষ। শিক্ষক হিসেবেও সুনাম ছিল তাঁর। অল্প কথায় সহজে বুঝিয়ে দিতেন কী করতে হবে, কীভাবে করতে হবে। অনেক চলচ্চিত্র পরিচালক মহিদুলের কাছে নিয়ে যেতেন তাঁদের ছবির নায়ক-নায়িকাদের প্রস্তুত করে দেওয়ার জন্য। ১৯৭৬ সালে সৈয়দ মহিদুল ইসলাম কলকাতায় প্রতিষ্ঠা করেন নিজের নাটকের দল ‘ব্যতিক্রম’।
১৯৭৮ সাল থেকে দলটি কাজ শুরু করে ঢাকায়। তাঁকে স্মরণ করে প্রতিবছরের মতো এ বছরও ব্যতিক্রম নাট্যগোষ্ঠী আয়োজন করতে যাচ্ছে ‘সৈয়দ মহিদুল ইসলাম স্মরণ উৎসব-২০২১’।
আজ থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা ও পরীক্ষণ থিয়েটার হলে হবে এ আয়োজন।
ব্যতিক্রমের ৪৫ বছর পদার্পণের এ আয়োজনে ব্যতিক্রম ছাড়াও দেশের আরও সাতটি দল নাটক প্রদর্শনীতে অংশ নেবে। উদ্বোধনী দিনে মঞ্চায়ন হবে থিয়েটার আর্ট ইউনিটের নাটক ‘কোট মার্শাল’। এ ছাড়া উৎসবে নাট্যচক্র ‘একা এক নারী’, ব্যতিক্রম নাট্যদল ‘পাখি’, সংলাপ গ্রুপ থিয়েটার ‘বোধ’, শব্দ নাট্যচর্চা কেন্দ্র ‘চম্পাবতী’, চট্টগ্রামের নান্দিমুখ ‘তবুও মানুষ’, প্রাঙ্গণেমোর ‘কনডেম সেল’ ও লোক নাট্যদল ‘সোনাই মাধব’ মঞ্চায়ন করবে।
নাট্যোৎসবের পাশাপাশি সম্মাননা প্রদান করা হবে নাট্যব্যক্তিত্বদের। নাট্যব্যক্তিত্ব সৈয়দ মহিদুল ইসলামের নামে প্রবর্তিত নাট্যপদক পাচ্ছেন বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব তারিক আনাম খান।
১৯৭৭ সালে দিল্লির ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা (এনএসডি) থেকে নাট্যতত্ত্বে স্নাতকোত্তর করে এসেছিলেন সৈয়দ মহিদুল ইসলাম। সহপাঠী হিসেবে সেখানে পেয়েছিলেন রাজ বাব্বর, স্মিতা পাতিল, নাসিরউদ্দিন শাহকে। তাঁর সেই পড়াশোনা ঢাকার নাটককে সমৃদ্ধ করতে কাজে দিয়েছিল।