স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে শিশুদের চিন্তাধারাকে কপ২৬ এর বৈশ্বিক এজেন্ডায় অন্তর্ভুক্তিকরণ জরুরি।
সংসদ ভবনের এলডি হলে আজ ইউনিসেফ বাংলাদেশ আয়োজিত ‘শিশুদের জলবায়ু ঘোষণাপত্র হস্তান্তর’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে স্পিকার আজ এসব কথা বলেন। এক্ষেত্রে, বাংলাদেশ বৈশ্বিক প্লাটফর্মে নেতৃত্ব দিতে পারে।
তিনি বলেন, শিশুরাই হতে পারে পরিবর্তনের নিয়ামক। শিশু ও নীতি নির্ধারকদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করছে শিশুদের জলবায়ু ঘোষণাপত্র। শিশুরা কি রকম পৃথিবী চায়, তা নীতি নির্ধারকদের জানাতে পারছে।
স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশসমূহের ফোরামে নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন। যেসব দেশ জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ, কিন্তু এইরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য দায়ী নয়, তাদের জন্য প্রধানমন্ত্রী গুরুদায়িত্ব পালন করছেন। তিনিই প্রথম নিজস্ব অর্থায়নে বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট গঠন করেছিলেন। বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণের কারণে তিনি ‘চ্যাম্পিয়ন অফ দি আর্থ’ পুরস্কার লাভ করেছেন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বিশ্বব্যাপী সকলে জলবায়ু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। বাংলাদেশ এক্ষেত্রে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশসমূহের একটি, যদিও বাংলাদেশ এর জন্য দায়ী নয়। ১৯৯২ সাল হতে বাংলাদেশ ইউএনএফসিসি নীতিমালা অনুসরন করে আসছে। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি, গ্রীনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ ইত্যাদি কোন বিষয়েই বাংলাদেশ দায়ী নয়। তবুও পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের প্রচুর বৃক্ষ রোপন ও বনায়ন জরুরি। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় বৈশ্বিকভাবে সকলের সম্মিলিত প্রয়াস প্রয়োজন।
পার্লামেন্টারি ককাস অন চাইল্ড রাইটসের সভাপতি মোঃ শামসুল হক টুকু এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন এমপি এবং আরমা দত্ত এমপি বক্তব্য রাখেন।
ইউনিসেফ বাংলাদেশ প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।