যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে দুই শিক্ষার্থীকে ভর্তি করানোর বিষয়টি বিবেচনা করতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ।
এ বিষয়ে হাইকোর্টের দেয়া রায় বাতিল করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন।
আদালতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক। শিক্ষার্থীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এডভোকেট বিএম ইলিয়াস কচি।
ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক বলেন, আপিল বিভাগ এ বিষয়ে হাইকোর্ট বিভাগের দেয়া রায় বাতিল করে দিয়েছে। তবে দুই শিক্ষার্থী ফাহিমা এবং জিন্নাতুন ফেরদৌস নাইমকে যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে ভর্তির বিষয়ে বিবেচনা করতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। যদি তারা কেবল প্রথমবার ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে থাকেন।
উচ্চ মাধ্যমিকে মানোন্নয়ন পরীক্ষা দেয়া চবির ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় (এ, বি, সি ইউনিটে) মেধা তালিকায় স্থান পাওয়ার পরও ভর্তি প্রক্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে ৮২ জন শিক্ষার্থী তিনটি রিট করে।
এছাড়া ডি-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়া একজন শিক্ষার্থী একটি রিট করে। এসব রিটের শুনানি নিয়ে ২০২০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের তিন ইউনিটে মেধাতালিকায় স্থান পাওয়া ৮২ শিক্ষার্থীর ভর্তিপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দেয়। এছাড়াও ডি-ইউনিটে মানোন্নয়ন দেয়া ভর্তি পরীক্ষার্থীদের ফলাফল প্রকাশ না করায় রিট আবেদনকারীর ফলাফল প্রকাশ ও সেই অনুযায়ী ভর্তির বিষয়টি বিবেচনা করতে বলা হয়েছে।
পরে ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু আবেদনগুলো দীর্ঘদিন শুনানিতে না আসায় শিক্ষার্থীরা রোববার ভার্চ্যুয়ালি বিষয়টি আপিল বিভাগের নজরে এনে বলেন, আমরা কোথাও ভর্তি হয়নি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ও আমাদের ভর্তি করেনি। আমাদের শিক্ষাজীবন আটকে আছে।
এরপর আদালত শুনানির জন্য দিন ধার্য করে। আজ বুধবার শুনানিতে বিএম ইলিয়াস কচি বলেন, ৮২ জনের অনেকে অন্য জায়গায় ভর্তি হয়ে গেছে। এখন বাকি আছেন ৫৭ জন।