বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান ও সহ-সভাপতি মিরান আলী ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ (যুক্তরাষ্ট্র স্থানীয় সময়) ওয়াশিংটন ডি.সি.-তে ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স কর্পোরেশনের (আইএফসি) সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত একটি সভায় যোগদান করেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, সভায় আলফোনসো গার্সিয়া মোরা, এশিয়া এবং প্যাসিফিকের আঞ্চলিক ভাইস প্রেসিডেন্ট; সাবিন শ্লোরক, গ্লোবাল হেড, ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যান্ড পোর্টফোলিও; এবং আইএফসি’তে ম্যানুফ্যাকচারিং, কৃষি ব্যবসা এবং পরিষেবা খাতের উপদেষ্টার সিনিয়র ম্যানেজার তানিয়া লোজনস্কি উপস্থিত ছিলেন।
দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হেক্টর গোমেজ আং, ওয়েন্ডি ভার্নার, কান্ট্রি ম্যানেজার (বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপাল) এবং নিশাদ শহীদ চৌধুরী, অপারেশনস অফিসার, আইএফসি আলোচনায় ভার্চ্যুয়ালী যুক্ত হন।
সভায় বিজিএমইএ সভাপতি আইএফসি’কে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, সামাজিক ও পরিবেশগত টেকসই উন্নয়ন এবং শ্রমিক কল্যানের ক্ষেত্রে পোশাক শিল্পের অগ্রগতি অবহিত করেন।
তিনি ক্ষুদ্র ও মাঝারি কারখানাসমূহ, যাদের বেশিরভাগেরই কম খরচে অর্থায়নের প্রয়োজনীয়তা আছে, অথচ কঠিন শর্তের কারনে নিয়মিত অর্থায়ন স্কিমগুলো গ্রহন করতে পারছে না, সেসব কারখানাগুলোকে সহায়তা প্রদানের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
তিনি আইএফসি’কে ক্ষুদ্র ও মাঝারি কারখানাগুলো যেন টেকসই উন্নয়ন সংক্রান্ত অনুশীলনগুলো গ্রহন করতে সক্ষম হয়, সে ব্যাপারে ঐসব কারখানাগুলোকে বিশেষভাবে অর্থায়নে সহযোগিতা প্রদান করার জন্য অনুরোধ জানান।
আলোচনায় তিনি বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের জন্য ভবিষ্যত করণীয় বিষয়গুলো, বিশেষ করে পণ্যের বহুমুখীকরণ, নতুন পন্য উন্নয়ন ও উৎপাদন প্রক্রিয়ার উদ্ভাবন এবং কারখানার ক্যাপাসিটির সর্বোচ্চ ব্যবহার প্রভৃতি বিষয়ের উপর আলোকপাত করেন।
তিনি টেকসই উন্নয়ন, পণ্যের বহুমুখীকরণ, দক্ষতা উন্নয়ন, প্রযুক্তিগত উন্নতি ও উদ্ভাবন প্রভৃতি ক্ষেত্রে পোশাক শিল্পকে সহায়তা করার জন্য সহযোগিতা ও সহায়তা প্রদানের সম্ভাব্য পথগুলোও আলোচনায় উত্থাপন করেন।
ফারুক হাসান গত কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশের পোশাক অব্যাহতভাবে সহযোগিতা ও সমর্থন প্রদান বিশেষ করে টেকসই উন্নয়ন, বিশেষভাবে পার্টনারশীপ ফর ক্লিনার টেক্সটাইল প্রোগ্রামের মাধ্যমে অংশগ্রহনকারী কারখানাগুলোকে কার্বন পদাঙ্ক ও জল পদাঙ্ক কমাতে সহায়তা করার জন্য আইএফসি’কে ধন্যবাদ জানান।
আইএফসি বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা অব্যাহত রাখেতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।