পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাড়িঘর ও প্রচলিত জীবিকা হারানো অভিবাসীদের পুনর্বাসনের জন্য অধিক কার্বন নিঃসরণকারী দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অভিবাসী লোকদের পুনর্বাসন করা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষত অধিক কার্বন নিঃসরণকারী দেশগুলোর দায়িত্ব।’
আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার নেদারল্যান্ডের রোটেরড্যামে গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশন (জিসিএ) সম্মেলনে বক্তব্য প্রদানকালে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
জিসিএ হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে নিতে জলবায়ু সহনশীল টেকসই পদ্ধতি উদ্ভাবন ও পারস্পারিক জ্ঞান বিনিময়ের লক্ষ্যে একটি ডাচ উদ্যোগ।
সম্মেলনে ড. মোমেন অধিক কার্বণ নিঃসরণ ও দূষণকারী দেশগুলোর কারণে সৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রগুলোতে উচ্চাভিলাষী ন্যাশনালী ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশনস (এনডিসিএস)-এর প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
বাংলাদেশী পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রতি বছর অন্তত ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের জলবায়ু তহবিল নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। পাশাপাশি তিনি মিটিগেশন ও অ্যাডাপটেশনের উপর সমান গুরুত্ব প্রদান করেন।
ড. মোমেন জিসিএ’র বোর্ড মেম্বার এবং জাতিসংঘের সদ্য-সাবেক মহাসচিব বান কি মুন সংস্থার চেয়ারম্যান।
রোটারড্যামে বিশ্বের বৃহত্তম ভাসমান অফিস জিসিএ প্রধান কার্যালয়টির উদ্বোধন করেন নেদারল্যান্ডের রাজা উইলেম-আলেক্সান্ডার। এ সময় সংস্থার বোর্ড মেম্বার, বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী ও বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম (সিভিএফ)এর মন্ত্রীদের একটি বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। সিভিএফ হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ৪৮টি দেশের প্লাটফরম।
সভায় সিভিএফ এর সাম্প্রতিক কার্যক্রম তুলে ধরা হয়।